কালীগঞ্জের হাট চাঁদনি হোক ঝুঁকিমুক্ত কালীগঞ্জের হাট চাঁদনি হোক ঝুঁকিমুক্ত  

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বহু পুরোনো একটি বিপণন কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। এ ভবনে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অবস্থান দূরের কথা, প্রবেশই বারণ। তারপরও প্রতিদিনই ভিড় জমিয়ে চলছে কেনা-বেচা। কয়েক বছর আগে চাঁদনি নামক এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ধসে মারা যান একজন ব্যবসায়ী। এরপর থেকেই প্রশাসনের তরফে এ ভবন ব্যবহারের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।   স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, আশির দশকে কালীগঞ্জ পৌর শহরের বড়বাজারে একতলা বিশিষ্ট হাট চাঁদনিটি তেরি করা হয়। পরে তার ওপর তলায় কালীগঞ্জ বাজার কমিটির প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা হয়। নিচতলায় চাঁদনিতে ১৫৩ মুক্ত দোকান রয়েছে। এক একটি দোকানে চারজন করে ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন। চাঁদনিতে তাদের কেউ চাল, কেউ বা মুদি, কাঁচা তরকারি ও মাছ-মুরগি, মাংসের দোকান দিয়েছেন। ২০০৭ সালে হাট চাঁদনিতে ছাদ স্থাপনা নষ্ট হয়ে তা খসে পড়তে শুরু করে। সেই থেকে ভবনটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের দফায় দফায় উদ্যোগ লক্ষ্য করা গেছে। কালীগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে বলেন, প্রতি ব্যবসায়ী ১ লাখ টাকা করে পৌর ফান্ডে জমা দিলে এটি বহুতল মার্কেটে উন্নীত করা হবে। কিছুই হয়নি।  কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আলহাজ মকছেদ আলী কোনো কিছু আড়াল না করে বলেছেন, পুরোনো হাট চাঁদনি সত্যিই জনার্কীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। অতি শিগগিরই পুনর্নির্মাণ করা দরকার। আমরা চেষ্টা করছি। তহবিল সঙ্কটের কারণেই থেমে রয়েছে। ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ হাট চাঁদনি পুনরায় সংস্কার হোক, দূর হোক ঝুঁকি। বিপণন কেন্দ্র হোক নিরাপদ।