আলুচাষে উৎপাদন খরচই উঠছে না : চাষিদের মাথায় হাত

যখন যে ফসল ওঠে, তখনই সে ফসলের দাম পড়ে যায়। কৃষকদের হাত থেকে ফসল ব্যবসায়ী মজুদদারদের হাতে যেতেই তরতর করে বাড়িয়ে দেয়া হয় দাম। ধান, গম ও ভুট্টাসহ অধিকাংশ কৃষি উৎপাদিত ফসলের ক্ষেত্রেও যখন এ অপরিস্থিতি পরিলক্ষিত হয়, তখন আলুর মূল্যহ্রাস তো হতেই পারে। কারণ এটা পচনশীল। হতো না, যদি মজুদের ব্যবস্থা কৃষকদের নাগালের মধ্যে গড়ে তোলা যেতো।

কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষকরা পদে পদে ক্ষতির শিকার। মধ্যসত্ত্বভোগীদের দাপট সব সময়ই লেগে থাকে। আলু নিয়ে প্রায় প্রতিবছরেই ব্যবসায়ীদের নানা কৌশলে আলুচাষিদের ক্ষতির শিকার হতে হয়। মাঝে কয়েক বছর অবশ্য কিছুটা লাভের মুখ দেখেছিলেন কৃষকরা। ওই সময় চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম ছিলো। লাভের আশায় কৃষকরা যখন যেদিকে ঝোঁকেন তখনই সে দিকে যেন বিপর্যয় নেমে আসে। এজন্য কৃষকদের সচেতনতা যতোটা না দরকার, তার চেয়ে দরকার সরকারিভাবে কৃষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নানামুখি পদক্ষেপ।

এবার আলুর দাম উৎপাদন খরচের অর্ধেকেরও কম। আলু খাদ্য চাহিদা পূরণের সহায়ক। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে খুব বেশি আলুর আবাদ না হলেও উত্তরবঙ্গ জুড়ে এবং ঢাকার বিক্রমপুর এলাকায় ব্যাপকভাবে আলুচাষ হয়। আলু রাখার জন্য কোল্ডস্টোর যেগুলো আছে তার অধিকাংশই বেসরকারি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণাধীন। পুঁজিপতিদের নিয়ন্ত্রণের কোল্ডস্টোরে সাধারণ কৃষকেরা বড় অসহায়।