অজ্ঞানপার্টির দৌরাত্ম্য : আইন প্রয়োগে গড়িমসি

 

দেশেঈদসহ বিভিন্ন পার্বন উপলক্ষে যখন অর্থনৈতিক লেনদেন বৃদ্ধি পায়, তখনদৌরাত্ম্য বেড়ে যায় অজ্ঞানপার্টিসহ বিভিন্ন অপরাধী চক্রের। সাধারণ মানুষেরজীবন ও অর্থ দুটিই হারানোর ঘটনা ঘটে এদের খপ্পরে পড়ে। ঈদ উৎসব সামনে রেখেইতোমধ্যেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে এসব চক্র। প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্নস্থানে বাসে,লঞ্চে,ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীরা এদের অসহায় শিকারে পরিণতহচ্ছেন। অজ্ঞানপার্টির শিকার হয়ে প্রাণ হারানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে। বলা যায়, এরা অর্থ লুট করতে মানুষ হত্যা করছে অবলীলায়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজহাসপাতালেপ্রতিদিন গড়ে ৮ জন মানুষ অজ্ঞানপার্টিরকর্মকাণ্ডের শিকার হয়ে এ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসে। এর মধ্যে গত জুনেঅজ্ঞানপার্টির শিকার হয়ে প্রায় আড়াইশব্যক্তি চিকিৎসা নিতে এসেছে। অর্থাৎএ মাসে চিকিৎসা গ্রহণকারী শিকারের সংখ্যা গড় সংখ্যার চেয়ে দ্বিগুণ বেশি।বিষয়টি উদ্বেগজনক। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অজ্ঞান রোগী ভর্তির সংখ্যাও কম নয়। বাস-ট্রেনে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে সর্বস্ব খোয়ানো ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। জ্ঞান ফিরলে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তারা। মামলার পথে হাঁটেন না। পুলিশও আগ্রহী হয়ে আইন প্রয়োগের তেমন দৃষ্টান্ত স্থাপনের উদ্যোগ নেয় না।

নতুন নতুনকৌশল উদ্ভাবন করে এরা এসব অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু যানবাহনে চলার পথেইনয়, অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, কর্মব্যস্তবাণিজ্যিক এলাকায় বিভিন্ন চা স্টল এবং পানীয় বিক্রির দোকান বসিয়েও তাদেরশিকারকে ফাঁদে ফেলছে। এক সময় অজ্ঞানপার্টি বড় বড় শহরে থাকলেওবর্তমানে তারা জেলা-উপজেলায় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। আইনি দুর্বলতা দূরকরে এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। অজ্ঞানপার্টি বিরোধী পুলিশের অগ্রণী ভূমিকা দরকার। অজ্ঞানপার্টি সম্পর্কে সকলকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনও প্রয়োজন।