হরিণাকুণ্ডুর প্রিয়নাথ স্কুলে মেয়াদ থাকার পরও গোপনে পকেট কমিটি :স্কুলে তালা ঝলিয়ে বিক্ষোভ

 

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু প্রিয়নাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজে রাতারাতি পকেট কমিটি গঠনের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষ। ছয় মাস মেয়াদ থাকার পরও জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক বাইরের ব্যক্তিকে নিয়োগ বাণিজ্য করার পাঁয়তারা চালাচ্ছেনস্কুলের প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস। এ খবর শনিবার সকালে ফাঁস হয়ে গেলে এলাকার অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক সচেতন মানুষ বিক্ষাভ মিছিলসহ স্কুলে তালা ঝুলিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেয়। বর্তমান এই পকেট কমিটি গঠন করা নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে, প্রিয়নাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি হিসেবে সনজু বাবু সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি কোনো নিয়োগ বাণিজ্য করতেন না। শিক্ষক নিয়োগ হলে কেউ স্বেচ্ছায় টাকা দিলে স্কুল ফান্ডে জমা করা হতো। সম্প্রতি স্কুলটি কলেজিয়েট হলে দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস বিপুল সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের আগেই গোপনে সভাপতি পরিবর্তন করেন। নুতন কমিটিতে প্রধান শিক্ষকের ছেলে ও নতুন সভাপতির ভাইকে রাখা হয়েছে নিরঙ্কুশভাবে নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য। এলাকাবাসী জানায়, যাকে সভাপতি বানানো হয়েছে তিনিও দুর্নীতিবাজ হিসেবে স্বীকৃত। তার বাড়ি হরিণাকুণ্ডুর অন্য এলাকায়।

হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টু এ খবরের সত্যতা নিশ্চত করে জানান, অভিভাবকদের পাশ কাটিয়ে গোপনে কমিটি গঠনের বিষয়টি খারাপ নজির। কমিটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও তিনি জানান। এ ব্যাপারে প্রিয়নাথ স্কুলের সভাপতি সনজু বাবু বলেন, তিনি এখনও বৈধ সভাপতি। কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াটি অবৈধ এবং অগ্রহণযোগ্য। এদিকে স্কুলের দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসকে এলাকাবাসী স্কুল থেকে অপসারণ করে একজন সৎ ও দক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।