হরিণাকুণ্ডুতে আমন ধানে ফল্স মার্ট ছত্রাকের আক্রমণ

হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি: হরিণাকুণ্ডুর মাঠে মাঠে বীজবাহিত ফল্স মার্ট ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ায় ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমন মরসুমে বিনা-৭, ব্রি-৩৯, ব্রি-৪৯সহ আগাম জাতের ধানে এ রোগ সব থেকে বেশি দেখা দেয়ায় কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মরসুমের শেষে বৃষ্টি হলে এ রোগের আক্রমণে ফলন বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা থাকে। এ ছাত্রাকের আক্রমণ হলে ধান পাকার আগে শীষের ধান ফেটে পচে কালো ও হলুদ রঙ ধারণ করে। হরিণাকুন্ডুর পৌরসভা সংলগ্ন কুলবাড়িয়া ব্লকের বলরামপুরের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, তাদের এলাকার জর্দারকুড়ি, আমনেকুড়ি, ছোলারদাড়িসহ বিভিন্ন মাঠে বিনা-৭, ব্রি-৩৯, এবং ব্রি-৪৯ আগাম জাতের ধানে ছত্রাক জনিত রোগের প্রদুর্ভাব হওয়ায় ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কায় কৃষকরা শঙ্কিত। ইতিপূর্বে এ অঞ্চলে এ জাতীয় রোগের প্রদুর্ভাব হয়নি বলে জানান। আব্দুল মজিদ আরো জানান, তার প্রায় দু বিঘা জমিতে বিনা-৭ এবং ব্রি-৩৯ আগাম জাতের ধান উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করে মিশ্র গুটি সার প্রয়োগ করার ফলে ধান গাছের বৃদ্ধি ছিলো উৎসাহ ব্যঞ্জক। কিন্তু ধান পাকার ঠিক পূর্ব মূহুর্তে এ রোগের আক্রমণে এখন তিনি চিন্তিত। একই কথা জানান, কৃষক হাসিবুল ইসলাম, মিন্টু বিশ্বাস, ওয়াছেল উদ্দিন, মোফজ্জেল হোসেন, শফি উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

কৃষিবীদ নজরুল ইসলাম জানান, আমন ধানের মরসুমে ফল্স মার্ট নামক ছত্রাকের প্রাদূর্ভাব দেখা দেয়। এটি একটি বীজ বাহিত রোগ। এ রোগের ফলে ধানের ফলন কমে, চাল কালো ও পোড়া হওয়ার ফলে মরা চালের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ভাতের স্বাদও তিতা হয়। তিনি আরো জানান, যে ধানে ফল্স মার্ট রোগ হয়, সে ধানের বীজ পরের বছর চাষ করা উচিত নয়। ভালো বীজ রোপন করা উচিত। ধানের শীষ বের হওয়ার ১০-১২ দিন পর পর ছত্রাক নাশক তরল ও পাউডার স্প্রে করলে ফল্স মার্ট রোগ থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া য়ায় বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।