সাত মিনিটে সাড়ে ৩০০ ভরি সোনা লুট

 

স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকায় একটি সোনার দোকানে হাতবোমা ফাটিয়ে সাড়ে তিনশ ভরি সোনার গয়নাগাটি লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ইয়াকুব আলী সুপার মার্কেটের দোতলায় সঙ্গীতা জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতিকালে কমপক্ষে ২০টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটনানো হয়। এ সময় ডাকাতদের মারধরে দোকান মালিকের ছেলে সুব্রত দাস (৩২), কর্মচারী নয়ন (৩০), বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে ট্রাক চালক সাগর ও হেলপার সাজু আহত হন। তাদের স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় মার্কেটের সামনে মহাসড়কের ওপর একের পর এক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মহাসড়ক ও আশপাশের দোকানগুলো মুহূর্তের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।

দোকানে বসে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী রাশেদুল ইসলাম বলেন, আটজন পিস্তলধারী জুয়েলারিতে প্রবেশ করে। তারা তাকে, দোকানের দুই নারী ক্রেতা ও চারজন কর্মচারীর বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে। পরে প্রদর্শনী তাকে (সেলফে) সাজিয়ে রাখা সোনা লুট করে। এ সময় লুটেরাদের দুজন দোকানের সিঁন্দুক ভাঙার চেষ্টা করে। দোকানের মালিক শঙ্কর চন্দ্র দাস জানান, তার দোকান থেকে কমপক্ষে সাড়ে তিনশ ভরি সোনা লুটে নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, তার ছেলেসহ চারজন কর্মচারী দোকানে ছিলো। এ সময় বাধা দিলে তার ছেলে সুব্রতকে মারধর করা হয়। প্রায় সাত মিনিটের মধ্যে মালামাল লুট করে দুর্বৃত্তরা ময়মনসিংহের দিকে পালিয়ে যায়। তবে কোন বাহনে তারা পালিয়ে গেছে তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শী বুট বিক্রেতা আন্নাছ আলী বলেন, মুহুর্মুহু বোমার শব্দে আতঙ্কিত হয়ে দোকান ফেলে পালিয়েছি। মনে হয়েছে জঙ্গিরা বোমা ফাটিয়েছে। একই কথা বলেন ফ্লাইওভারের নিচে হালিম বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন।

দোকান পরিদর্শনে আসা শ্রীপুর থানার এসআই হেলাল উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লুটেরাদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ, ৱ্যাব ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।