সমাজের স্বার্থেই তালিকাভুক্ত ইমামদের মাধ্যমে নির্দিষ্টস্থানে কোরবানীর পশু জবাই করার নির্দেশনা দিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, নির্ধারিত স্থানে তালিকাভুক্ত ইমামদের মাধ্যমে কোরবানীর পশু জবাই করতে হবে। এজন্য এলাকায় মাইকিং ও লিফলেট প্রচার করতে হবে। কোরবানীর পশুর বর্জ্য পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। বৃক্ষরোপণ কমসূচির আওতায় জেলায় ৫ লাখ ফলজ, ওষুধী ও তালগাছ একই দিনে একই সময়ে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এতে চুয়াডাঙ্গাবাসী সম্মানীত হতে পারেন। গতকাল রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত নির্ধারিত স্থানে কোরবানীর পশু জবাই উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব মন্তব্য করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ডিডিএলজি) আনজুমান আরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি দে, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, চুয়াডাঙ্গা পৌর প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের সচিববৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যেক্তাবৃন্দ, ইমাম, কাজী, শিক্ষক, সমাজসেবক ও সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ আরও বলেন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের (ইউডিসি) উদ্যেক্তারা সরকারি চাকরিজীবী নয়। ব্যবসা করার জন্য চেয়ারম্যানদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ইউডিসির আয় যদি বৃদ্ধি করতে না পারেন, প্রয়োজনে চুক্তি বাতিল করেন। যারা যারা মনে করেন তারা থাকবেন। সচিবদের উদ্দেশে বলেন, উদ্যেক্তা ছোট ভাই-বোনের প্রতি দয়া করবেন। তারা ১০-২০ টাকা আয় করেন, তাদের দিকে হাত বাড়াবেন না। বাল্যবিয়ে বন্ধে শুধুমাত্র প্রশাসনের একার দায়িত্ব নয়। এজন্য সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে। কাজীদের সহায়কদের বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত ভলিউম ফেরত দিতে হবে। গ্রাম পুলিশদের সাহস দিতে হবে। গ্রাম আদালত চালু করতে হবে। এতে জনপ্রতিনিধিদের ভোটের সমস্যা হবে না। শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন করতে হবে। বৃক্ষরোপণের ৫ লাখ গাছ চলতি মাসের ২৫/২৬ তারিখের দিকে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।