সকল দলের অংশগ্রহণে আওয়ামী লীগ নির্বাচন চায়

মেহেরপুর শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কের জনসভায় প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ

মেহেরপুর অফিস: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেছেন, সকল দলের অংশ গ্রহণে আওয়ামী লীগ নির্বাচন চায়। আওয়ামী লীগ কথায় না বাস্তব গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা চাই সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মেহেরপুর শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে অনুষ্ঠিত জনসভায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে বিএনপি যে সব কথা ছড়াচ্ছে তার সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই। বিএনপি আবারও ২০১৩ সালের মতো জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনে ফিরে যেতে চায়।
একই সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের জনসভায় বলেন, বিএনপি ও জামায়াতকে আগামী ২৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এর পূর্বে ৩২ ধারা প্রসঙ্গে বলেন, এ ধারায় সাংবাদিকদের আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। হলুদ সাংবাদিকরা ভয় পাবে। যারা হলুদ সাংবাদিক নয়; তাদের কোনো অসুবিধা তো হবে না। একমাত্র যারা অপরাধী ও অপরাধ করে তারাই আতঙ্কিত হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলা আওয়ামী লীগ সরকার করেনি। করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। মামলার বিচার আদালত করবেন। এতে কারও বলার কিছু নেই। অপরাধ করে দ্বায়ভার অন্যের ওপর চাপানো যায় না। বিএনপির আচরণ ও উচ্ছৃঙ্খলতায় জাতি হতাশ। ৮ ফ্রেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার বিচারের রায় হবে। এর বিরোধীতা করে যারা রাস্তায় নামবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিএনপি আবারও প্রমাণ করছে তারা ধ্বংসাত্মক কর্মকা- থেকে ফিরে আসতে পারছে না।
বিকেল ৪টায় মেহেরপুর শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে জনসভা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহীনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সদস্য এস.এম কামাল হোসেন, পারভিন জামান কল্পনা, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা আক্তার বানু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ খালেক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ গোলাম রসুল, সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাড. মিয়াজান আলী, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সহিদুজ্জামান খোকন, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী। এ সময় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলহাজ আসকার আলী, সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম, আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাড. আব্দুস সালাম, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহাবুব আলম শান্তি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, সাধারণ সম্পাদক মৃদুল প্রমুখসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীবৃন্দ। এর আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে খ- খ- মিছিল গিয়ে সভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়।