সংবাদপত্র পৌঁছে দেয়া কামরুজ্জামান কালু এখন নিজেই সংবাদ : কষ্টের দীর্ঘ জীবন : বাঁচার আকুতি

 

স্টাফ রিপোর্টার: দু যুগেরও বেশি সময় ধরে সংবাদপত্র বিক্রি করেন কামরুজ্জামান কালু। গ্রাহকদের দারে দারে সংবাদপত্র যে কালু এতোদিন পৌঁছে দিয়েছেন, সেই কালুই এখন সংবাদপত্রের সংবাদ হয়ে মানুষের সহযোগিতা নিয়ে বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়েছেন। বলেছেন, মানুষের দয়া ছাড়া এখন আর আমার বাঁচার কোনো রাস্তাই খোলা নেই।

তখন কামরুজ্জামান কালু ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। অসুস্থ হলেন। শয্যাগত। চিকিৎসায় বিছানা থেকে উঠলেও দু হাতের আঙুলগুলো বাকা হয়ে গুড়িয়ে যেতে শুরু করলো। পায়ের আঙুলগুলো শুধু কুকড়াতেই লাগলো না, ফেটে কষানি বের হতে লাগলো। দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তবুও সামর্থ অনুযায়ী চিকিৎসা চলতে থাকলো। সবই শেষ হলো। স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ফিরে পেলো না সেই। নিজ গ্রাম চুয়াডাঙ্গা শহতলী দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ারই একজন সংবাদপত্র বিক্রেতার এক এজেন্টের নিকট নিলেন। শুরু হলো সংবাদপত্র বিক্রি। একই সময়ে হাতে পেলো দৈনিক মাথাভাঙ্গা। তখন মাথাভাঙ্গার কপি প্রতি মূল্য ছিলো ১ টাকা। তাই বিক্রি করেই পেটের ভাতের ব্যবস্থা হলো। এরই মাঝে বিয়ে হলো। সন্তান হলো। এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়েটার বিয়ে হয়েছে। ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। এরই মাঝে কামরুজ্জামান কালু চলাচল করার ক্ষমতা হারিয়ে হাসপাতালে। সম্প্রতি তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংসার চালাবে কে? চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রই পিতার কর্মটা কোনো রকম চালিয়ে নেয়ার জন্য পথে নেমেছে। কিন্তু কামরুজ্জামান কালুর কী হবে?

চিকিৎসার জন্য দরকার অনেক টাকা। অতো টাকা কে দেবে? মাথাভাঙ্গা পরিবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। এককভাবে কতোটুকুই আর সহযোগিতা সম্ভব? তাই তো দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছে কালুসহ তার সহযোগীরা।