লাল ব্রিফকেস ফেলে গিয়েছিলেন ক্যামেরন

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ট্রেনে নিজের ‍দাফতরিক কাজের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রবাহী লাল ব্রিফকেসটি ভুল করে ফেলে রেখে অন্যত্র গিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। শুধু কি তাই, তিনি এতোটাই মনভোলা যে, ব্রিসকেসে তালা লাগিয়ে চাবিটিও ঝুঁলিয়ে রেখেছিলেন তালার সাথেই।

গত শনিবার এ কাণ্ডের অবতারণা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। উত্তর লন্ডনের কিংস ক্রস থেকে ইয়র্কগামী ট্রেনের যাত্রী ছিলেন ক্যামেরন। ইয়র্কে তিনি শ্যালিকার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সম্প্রতি তিনি রাশিয়ায়  জি২০ সম্মেলনে যোগ দিয়ে দেশে ফিরেছেন। ব্রিফকেসের ওপর লেখা ছিলো প্রাইম মিনিস্টার। তালার সাথে চাবি ঝুঁলিয়ে থাকা ব্রিসকেসটি কাউকে দেখতে না বলে কামরা ছেড়ে ট্রেনের অন্য অংশে ঘুরতে যান ক্যামেরন। প্রধানমন্ত্রীর এ মনভোলা প্রকৃতির প্রমাণ হিসেবে ক্যামেরন বিহীন লাল ব্রিসকেসটির ছবি ধারণ করেন তার এক সহযাত্রী।

তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের দাবি, ক্যামেরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা এক পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক ব্রিফকেসটি দেখভাল করছিলেন। কিন্তু ট্রেনের ওই কামরার ক্যামেরনের সহযাত্রী শোনাচ্ছেন অন্য কথা। তিনি বলছেন, আমি শুধু সেখানে বসে ছিলাম। আমি যদি চাইতাম, তাহলে ব্রিফকেসটি নিয়ে পালিয়ে যেতে পারতাম। পাঠকের জ্ঞাতার্থে ক্যামেরনের মনভোলার পূর্বের একটি ঘটনা উল্লেখ করা দরকার। ২০১১ সালের ১০ জুনের ঘটনা। ক্যামেরন ও তার স্ত্রী সামান্থা মেয়ে ন্যান্সিকে নিয়ে বাকিংহামশায়ারের একটি রেঁস্তোয়ার দুপুরের খাবার খেতে যান।

খাবার শেষে স্বামী-স্ত্রী বাসায় ফিরলেও মেয়ে তাদের সাথে ছিলেন না। ক্যামেরন দেহরক্ষীসহ একটি গাড়িতে এবং সামান্থা অন্য একটি গাড়িতে বাসায় আসেন। ক্যামেরনের ধারণা ছিলো, ন্যান্সি সামান্থার কাছে আছে আর সামান্থার ধারণা ছিলো, ক্যামেরনের সাথে রয়েছে ন্যান্সি। দুজন দু গাড়িতে করে বাড়ি ফিরলে দেখে ন্যান্সি নেই। তৎক্ষণাৎ ওই রেঁস্তোরায় চলে যান ক্যামেরন। মেয়েকে রেঁস্তোরা স্টাফরা খুব আদর-যত্নে রেখেছেন, দেখতে পেয়ে খুশি হন ক্যামেরন।