র‌্যাবের হাতে কালা বাবু

 

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীরমগবাজারে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় মোট ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হয়েছিলো।এদের মধ্যে কাইল্যা বাবুর হাতে ছিল অত্যাধুনিক সিজেড-থ্রি পিস্তল। এইপিস্তলটি তাকে দিয়েছিল শোভন নামে আরেক সস্ত্রাসী। চাঞ্চল্যকর এ তিন খুনেরঘটনায় গ্রেফতার হওয়া এজাহারভুক্ত আসামি সোহেল খান ও আরিফ জিজ্ঞাসাবাদেপুলিশকে এসব তথ্য দিয়েছে। শনিবার পুলিশ এ দুজনকে ৫ দিন করে রিমান্ডে নিয়েজিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এদিকে তিন খুনের প্রধান আসামি কাইল্যা বাবু র‌্যাবেরহাতে আটক রয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। ঘটনার পর থেকে সে নিখোঁজরয়েছে। কাইল্যা বাবুর ছোট ফুফু খুশী বেগম বলেছেন, শুক্রবার রাত১২টার দিকে সবুজবাগের মাণ্ডা ঢালপাড় জামে মসজিদ গলিতে তার বাসায়র‌্যাব-৩-এর একটি টিম অভিযান চালায়। কাইল্যা বাবু তার বাসায় আত্মগোপনকরেছিলো। র‌্যাব সেখান থেকে কাইল্যা বাবুকে আটক করে নিয়ে যায়। এ সময় কাইল্যাবাবুর কাছ থেকে গুলিভর্তি দুটি ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করের‌্যাব।তবে কাইল্যা বাবুকে আটকের বিষয়টি শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ ওর‌্যাবের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। এ ব্যাপারে র‌্যাবের অতিরিক্তমহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান জানান, কাইল্যা বাবু নামে র‌্যাব কাউকে আটককরেনি। তবে মগবাজারে তিন খুনের ঘটনায় র‌্যাব তাকে খুঁজছে। তাকে গ্রেফতারেরজন্য র‌্যাবের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে।

এদিকে তিন খুনের ঘটনায় দায়েরহওয়া মামলার ৯ ও ১০ নম্বর আসামি সোহেল খান (২৮) ও আরিফ (২৫) নামে দুজনকেশুক্রবার গভীর রাতে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবারগ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতেপাঠানো হয়। এর আগে নিহত রানু বেগম বৃষ্টির ভাই শামীম ওরফে কালাচাঁনশুক্রবার রাতে বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে রমনা থানায় একটি মামলাকরেন।

এদিকে রিমান্ডে সোহেল ও আরিফ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, এ হত্যার মূলপরিকল্পনাকারী শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান গ্রুপের অন্যতম ক্যাডার শোভন। জিসানবর্তমানে দুবাইয়ে থেকে শোভনের মাধ্যমে মগবাজার এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণকরছে। বৃহস্পতিবার রাতে কিলিং মিশনে কাইল্যা বাবু, শোভন, মারুফ, মোশারফ, আলামিন, বিল্লাল, জনি, সোহেল ও আরিফসহ ১০-১২ জন অংশ নিয়েছিল।

গোয়েন্দাপুলিশের উপকমিশনার কৃষ্ণপদ রায় শনিবার এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে বলেন, চাঁদাবাজি ও রেলের জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলেপ্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদইকবাল জানান, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার ও জমি দখলের বিষয়গুলোকে সামনেরেখে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকেমগবাজারের সোনালীবাগে রেলওয়ের সোয়া এক কাঠা জমির উপর ৫টি টিনশেড ঘর দখলকেকেন্দ্র করে কাইল্যা বাবুর গ্রুপ গুলি করে রানু বেগম বৃষ্টি, বিল্লাল ওমুন্নাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় বৃষ্টির ভাই হৃদয় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজহাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।