যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করা হবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ বলেছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন হবে। সেইসাথে দ্রুত বিচারের রায় কার্যকর করা হবে। একটানা ১০ দিন বিরতির পর গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

মো. মনিরুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আদালতের বিচার কাজে সরকারের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। বিচার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়টিও সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে ন্যূনতম সময়ের মধ্যে কতিপয় যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় দিয়েছেন। অপরাপর যুদ্ধাপরাধীর বিচারকাজ আইনগতভাবে এগিয়ে চলছে। গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এ পর্যন্ত ৩১ লাখ ১৬ হাজার ৯৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। সারাদেশের নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে ২৯ লাখ ৭০ হাজার ৩৫৩টি মামলা। এছাড়া সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে ১০ হাজার ৬৭১ এবং হাইকোর্ট বিভাগে এক লাখ ৩৫ হাজার ৭১টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। একই বিষয়ে সাধনা হালদারের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত অর্থবছরে ১৬ হাজার ২০৯ জন ব্যক্তিকে সরকারিভাবে আইনগত সহায়তা দেয়া হয়েছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও নিঃস্ব লোকদের জন্য আইনগত সহায়তা দিতে সরকারের খরচ হয়েছে এক কোটি ৩০ লাখ ৭২ হাজার ৮৪০ টাকা। আর চলতি অর্থবছরের জন্য এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে এক কোটি টাকা।

শামশুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৩৮৬ জন সাবরেজিস্ট্রার দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া ৮৫টি সাব-রেজিস্ট্রারের পদ শূন্য রয়েছে। বর্তমান সরকারের সময় সুনির্দিষ্ট ফরমেটে দলিল লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সুলতানা বুলবুলের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে সারাদেশে ১৮৮টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নিজস্ব ভবন রয়েছে। যেসব সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নিজস্ব ভবন নেই দ্বিতীয় পর্যায়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় নিজস্ব ভবন নির্মাণের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করা হবে।