মেহেরপুর দীঘিরপাড়ায় খড়ের চাষ : সচ্ছল জীবন-যাপন করছে দু শতাধিক পরিবার

মহাসিন আলী: মেহেরপুর শহরের উপকণ্ঠ পৌরসভার দীঘিরপাড়া গ্রামে সবজি চাষের মতো খড়ের চাষ হচ্ছে। খড়চাষ ও ব্যবসা করে সচ্ছল জীবন-যাপন করছে ওই গ্রামের প্রায় দু শতাধিক পরিবার। এক সময় দিনমজুর হিসেবে চরম মানবেতর অবস্থার মধ্যে দিন কাটাতো তারা। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় অনেকেই এখন খড়চাষ ও ব্যবসার দিকে ঝুঁকে পড়ছে।

মেহেরপুর জেলা শহর থেকে কোয়ার্টার কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত পৌরসভার ছোট্ট একটি গ্রাম দীঘিরপাড়া। এ গ্রামের বেলেগাড়িপাড়ার দু শতাধিক পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস এখন খড়। যার আরেক নাম উলো। এক সময় মানবেতর অবস্থার মধ্যে দিন কাটালেও খড়ের চাষ আর ব্যবসা করে বর্তমানে সচ্ছল জীবনযাপন করছে তারা। সবজি চাষের মতোই সেচ-সার দিয়ে জমিতে খড়চাষ করা হয়। এ খড় কেটে ৪/৫ দিন পানিতে পঁচিয়ে রোদে শুকানো হয়। এরপর বাছাই শেষে পানের বরজে ব্যবহারের উপযোগী করে পার্শ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা ও বরিশালের হাটে বিক্রি করা হয়। বাড়ির পুরুষের পাশাপাশি এ কাজে মহিলা ও শিশুরাও শ্রম দেয় সমানভাবে।

এক বিঘা জমিতে খড়চাষ করে বাজারজাত করা পর্যন্ত ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। বছরে তিন থেকে চারবার খড় কাটা যায়। প্রতিবার শুকিয়ে খড় পাওয়া যায় ৪৫ থেকে ৫০ মণ। যা থেকে খরচ বাদে প্রতিবার আয় হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এ ব্যবসায় একদিকে যেমন লাভ হয় অপরদিকে শ্রমও দিতে হয় কম।

তবে খোলা মাঠের অভাবে খড় শুকাতে গিয়ে তাদের বেগ পেতে হয়। এদিকে কী পরিমাণ জমিতে খড়ের চাষ হচ্ছে এবং কতো লোক এর সাথে জড়িত সে পরিসংখ্যান কৃষি বিভাগের জানা নেই বলে জানা গেছে।