মেহেরপুর থেকে ধার করা ফকার মেশিন দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় মশা নিধন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা এলাকাকে মশামুক্ত করতে মাঠে নেমেছে কর্তৃপক্ষ। পৌর এলাকার দু লক্ষাধিক নাগরিকের জন্য নেই কোনো মশা নিধন ফকার মেশিন। আর তাই মেহেরপুর পৌরসভা থেকে ধার করে কাজ চালাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকায় মশামুক্ত করতে ড্রেনে স্প্রে করতে দেখা গেছে পৌর পরিচ্ছন্নকর্মীদের।

নাগরিক সুযোগ সুবিধা বিবেচনায় ১৯৪৭ সালে চুয়াডাঙ্গা লোকাল বোর্ড গঠিত হয়। ১৯৬০ সালে ইউনিয়ন পরিষদ। ১৯৬৫ সালে টাউন কমিটি গঠিত হয়। যা ১৯৭২ সালের ২০ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। পৌরসভার আয়তন ৩৭ দশমিক ৩৯ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ২ লক্ষাধিক। ১৯৪৭ সালে ওহিদ হোসেন জোয়ার্দ্দার লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথম দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিপুল ভোটে নির্বাচিত মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু এবং সাথে রয়েছেন ৩ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও ৯ জন সাধারণ কাউন্সিলর। বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী পৌর নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা দেয়ায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বর্তমানে শহরের বাসাবাড়ি ও অফিস আদালতে মশার উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত ৩ ফ্রেব্রুয়ারি বর্তমান পৌর পরিষদে দায়িত্ব নেয়ার সময় পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাকে মশামুক্ত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন বলে নাগরিকদের আশ্বস্ত করেন। দায়িত্ব নেয়ার ১ মাস পর শহরে মশা নিধনে ফকার মেশিনের সাহায্যে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের স্প্রে করতে দেখা গেছে। পৌরসভার দু পরিচ্ছন্নকর্মী ভাষা ও সোহেল গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ফকার মেশিনের সাহায্যে মশা নিধনে কাজ করে যাচ্ছেন। যে ফকার মেশিনটি ব্যবহার করা হচ্ছে তা আবার পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর পৌরসভা থেকে ধার করে আনা। অথচ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দারের সময় ৩টি ফকার মেশিন ও ৪টি হ্যান্ডমেশিন এবং সাবেক মেয়র অ্যাড. আশরাফ আলী বিশ্বাসের সময়ে ৪টি ইঞ্জিনচালিত মেশিন রয়েছে। সেগুলো কোথায় কীভাবে রয়েছে তা কেউই জানে না। বিষয়টি তদন্ত করে এখনই ব্যবস্থা নেয়া দরকার মত প্রকাশ করেছেন পৌর নাগরিকরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সচিব কাজী শরিফুল ইসলাম মশা নিধনে বর্তমান ফকার মেশিনটি মেহেরপুর পৌরসভা থেকে নিয়ে আসার কথা স্বীকার বলেন, পৌরসভার নিজস্ব ৩টি ফকার মেশিন থাকলেও তা অকেজো অবস্থায় রয়েছে। মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করা যায় কি-না তা দেখা হবে। তিনি আরো জানান, বুধবার ৯ নং ওয়ার্ডের আরামপাড়া থেকে ড্রেনে স্প্রে করার কাজ শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে সকল ওয়ার্ডে স্প্রে করা হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুর সাথে একাধিকবার মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।