মেহেরপুর গাংনীর কৃষক চাঁন্দ আলী হত্যা মামলা : ঢাকা থেকে মা ছেলে গ্রেফতার

গাংনী প্রতিনিধি: কৃষক চান্দ আলী হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহের মাথায় প্রধান আসামি শ্যামল হোসেন (৩২) ও তার মা আসমানী খাতুনকে (৪৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকার প্রধান সড়ক থেকে গাংনী থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের হোসেন সরকারের ছেলে কৃষক চাঁন্দ আলীকে গত ৫ জানুয়ারি মারধর করে শ্যামল ও তার মাসহ কয়েকজন। ৭ জানুয়ারি রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন চাঁন্দ আলী।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম হোসেন জানান, চাঁন্দ আলীর ওপর হামলার পরদিন তার পিতা বাদী হয়ে গাংনী থানায় চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এর পরেরদিন চাঁন্দ আলী মারা গেলে ওই মামলার সাথে হত্যা মামলার ধারা যুক্ত হয়। তবে চাঁন্দ আলীর মৃত্যুর পর থেকেই আসামিরা আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাংনী থানার এসআই শংকর কুমার ঘোষ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় অভিযান চালান। এ সময় সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে শ্যামল ও তার মাকে গ্রেফতার করা হয়। শ্যামল হোসেন চাঁন্দ হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
এদিকে গতরাতে গাংনী থানায় পৌঁছে শ্যামল ও তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশ কাছে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
গাংনী থানার ওসি আরো জানান, হত্যাকাণ্ড নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে শ্যামল। তাদের জবানবন্দি ১৬১ ধারার রেকর্ড করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে দুই আসামিকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে। আদালতে তারা স্বীকারোক্তি দেবে বলেও জানান তিনি।
গত ৫ জানুয়ারী সকালে শ্যামলদের বাড়ির পাশে চাঁন্দ আলীর আম বাগানের আমগাছের ডাল কাটে শ্যামল। এ নিয়ে উভয় মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আম গাছের ডাল দিয়ে চাঁন্দ আলীর মাথায় সজোরে আঘাত করে শ্যামল ও তার লোকজন। এতে গুরুতর আহত হলে চাঁন্দ আলীকে প্রথমে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে রাজশাহীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। দুইদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ৭ জানুয়ারি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন চাঁন্দ আলী।