মেহেরপুর আদালতের অফিস সহায়ক সুমিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

প্রেমিকের সহায়তায় প্রবাসী স্বামীর নগদ অর্থসহ ৭৭ লাখ টাকার মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ

 

মেহেরপুর অফিস: প্রেমিকের সহায়তায় প্রবাসী স্বামীর নগদ অর্থসহ প্রায় ৭৭ লাখ টাকার মালামাল আত্মসাৎ করার অভিযোগে মেহেরপুর আদালতের অফিস সহায়ক সুমিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ম আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত সুমি আত্মপক্ষ সমর্থন করে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক মো. ছানাউল্লহ তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৩ সালে মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজারপাড়ার খোকন রেজার মেয়ে উম্মে কারিমা ওরফে সুমির বিয়ে হয় চুয়াডাঙ্গার খেজুরা গ্রামের শরিফুল ইসলামের সাথে। সংসার জীবনে তাদের ঘরে আসে একটি কন্যাসন্তান। স্বামী আশরাফুল ইসলাম কুয়েত পাড়ি দেন। এর মধ্যে সরকারি চাকরি পেয়ে সুমি স্বামীর অনুপস্থিতিতে কিছুটা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। প্রবাসী স্বামী আশরাফুল ইসলাম কষ্টার্জিত টাকা স্ত্রী সুমির ব্যাংক হিসেবে পাঠালে সেখানে থেকে সুমি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও স্বর্ণালঙ্কারসহ আরো প্রায় ১৭ লাখ টাকার মালামাল আত্মসাৎ করেন। ২০১৪ সালে আশরাফুল ইসলাম দেশে ফিরে ওই টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্যান্য জিনিসের হিসেব চাইলে সুমি তার প্রেমিক সাগর আলীকে দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। প্রাণ ভয়ে আশরাফুল ইসলাম পুনরায় কুয়েত ফিরে যান। আশরাফুলের পরিবার বিভিন্নভাবে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে তারা ব্যর্থ হন।

পরে ১৪ মে আশরাফুল ইসলামের ভাই আশিকুর রহমান জোয়াদ্দার বাদী হয়ে উম্মে কারিমা ওরফে সুমি ও তার প্রেমিক সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সাগর আলীকে আসামি করে মেহেরপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। বিজ্ঞ বিচারক মো. ছানাউল্লাহ মামলাটি আমনে নিয়ে উম্মে কারিমা ওরফে সুমির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।