মেহেরপুরে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় স্বামীর আদালতে আত্মসমর্পণ

যাদুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ টিপু জেলহাজতে
মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় সদর উপজেলার যাদুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান টিপুর জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মহিদুল ইসলাম ওই আদেশ দেন।
অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান টিপু স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের জেলা আহ্বায়ক এবং তার স্ত্রী নার্গিস আরা খাতুন যাদুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান। গত ৯ ফেব্রুয়ারি স্বামী অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান টিপুর বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, যৌতুকের ৫ লাখ টাকা দেয়ার পরেও দাবির অবশিষ্ট ৫ লাখ টাকা না দিলে তার মুখে এসিড মেরে পুড়িয়ে দেয়ার ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হতো। এ ছাড়া স্কুলের চাকরি ও জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদ না ছাড়লে তালাক দেয়ার হুমকিও দেয়। বিধায় নার্গিস আরা যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি মোস্তাফিজুর রহমান টিপুর ওই মামলায় জামিনে ছিলেন। ১৫ দিনের জামিন আদেশে মীমাংসার শর্ত সাপেক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের দেয়া ধার্য দিনে প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় আদালত অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান টিপুর জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. খন্দকার আব্দুল মতিন, অ্যাড. মিনা পাল, অ্যাড. রুতশোভা ম-ল, অ্যাড. নিয়ামুল খান ও অ্যাড. গোলাম মোস্তফা। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. খন্দকার একরামু হক হীরা, অ্যাড. শফিউদ্দিন শফি ও অ্যাড. জুয়েল।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রথম স্ত্রী সেলিনা পারভীন নিলার দায়ের করা খোরপোষ ও নারী নির্যাতন মামলায় অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান টিপু দীর্ঘদিন জেলহাজতে ছিলেন।