মেহেরপুরে সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীনকে গণসংবর্ধনা প্রদান

 

মেহেরপুর অফিস: সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ জয়নাল আবেদীনকে গণসংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে শহরের শহীদ ড. সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে শহর আওয়ামী লীগের ব্যানারে মেহেরপুর পৌরসভা ও আমদহ ইউনিয়নে ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি ভূমিকা রেখেছেন তার স্বীকৃতি স্বরুপ তাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলহাজ আশকার আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান ছোট, জেলা যুব লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, শহর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শহিদুজ্জামান সুইট প্রমুখ।

সাবেক এমপি আলহাজ জয়নাল আবেদীন তার বক্তব্যে বলেন, যখনই নির্বাচন আসে তখনই মেহেরপুরের পৌর মেয়র হাইকোর্টে মামলার মাধ্যমে নির্বাচন বন্ধ করে দেন। এর আগের নির্বাচনেও আক্তার ইমাম হোসেন নামের এক ব্যক্তির সীমানা নির্ধারণ জটিলতার মামলায় নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর যখন পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ঠিক তখনই আবারও সীমানা জটিলতার মামলা দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করা হয়। নির্বাচনের জন্য তাকে দীর্ঘদিন ধরে হাইকোর্ট ঘুরাঘুরি করতে হয়েছে। নির্বাচন বন্ধ হবার পেছনে বর্তমান সংসদস্যের ডিও লেটারকে দায়ী করেন তিনি।

সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ: ডিও লেটারের মাধ্যমে পৌরসভার নির্বাচন বন্ধ করেছেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ জয়নাল আবেদীনের এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ। গতরাতে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহীন স্বাক্ষরিত প্রেসরিলিজের মাধ্যমে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেসরিলিজে উল্লেখ করা হয়েছে, গতকাল বুধবার বিকেল শহীদ ড. সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে বক্তব্যে জয়নাল আবেদীন বলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ডিও লেটারের মাধ্যমে এতোদিন পৌরসভার নির্বাচন বন্ধ করে রেখেছিলেন। কিন্তু তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে প্রেসরিলিজে। যা প্রেরিত ডিও লেটারের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। যা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘৃণ্য ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশের যে তিনটি পৌরসভাসহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বন্ধ ছিলো সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। এতে কারও কৃতীত্ব নয়। -প্রেসবিজ্ঞপ্তি।