মেহেরপুরের জেলারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু : বের হয়ে আসছে আসামি নির্যাতনের সত্যতা

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরের জেলার মো. শেখ আকতার হোসেন এবং কারারক্ষী আলামিন (নং-৪১৭১৪), সোলাইমান হোসেন (নং-৪১১৪১) ও মামুন হোসেনের (৪১৬৩৬) বিরুদ্ধে বাদী মনিরুলের দায়ের করা মামলার অভিযোগ তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে বাদীর অভিযোগ প্রাথমিক সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আমলী আদালত নং-১ (মেহেরপুর-মুজিবনগর) এর প্রথম শ্রেণির  ম্যাজিস্ট্রেট  ছানাউল্ল্যাহ বাদী মনিরুল, তার ভাই ভিকটিম শাহী ও সাক্ষী মোগলের বক্তব্য রেকর্ড এবং ভিকটিম শাহীর শরীর পরীক্ষা শেষে আদেশ নামায় ওই তথ্য উল্লেখ করেন।

আদেশ নামায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে আগামী ২৪ অক্টোবর-১৬ এর মধ্যে ভিকটিম শাহীর শরীর পরীক্ষা করে সিভিল সার্জন মেহেরপুরকে জখমী সনদ আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এছাড়া আগামী ২৩ অক্টোবর-১৬ বিকেলে জেলা কারাগারে তিনি উপস্থিত থেকে ভিকটিমের উপস্থিতিতে জেলার শেখ আকতার হোসেনসহ কারাগার সংশ্লিষ্ট স্বাক্ষীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও পারিপাশ্বিক সাক্ষ্য গ্রহণ করেবেন।

মেহেরপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড মল্লিকপাড়ার মৃত টগরের ছেলে মনিরুল বাদি হয়ে গত ১৩ অক্টোবর বিকেলে মেহেরপুরের জেলারসহ মোট ৪ জনকে বিবাদী করে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট-১এ অভিযোগ দাখিল করেন। ওই ঘটনায় বিজ্ঞ বিচারক জুডিসিয়াল তদন্ত দেন। সে মোতাবেক গেলো বুধবার ভিকটিম ও মামলার স্বাক্ষী শাহীকে যশোর কারাগার থেকে মেহেরপুরে নেয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার তার স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তাকে মেহেরপুর কারাগারে রাখতে জেল সুপারকে নির্দেশ দেন।

অপরদিকে, মেহেরপুর জেলা কারাগরের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার মো. আরিফ হোসেন এক প্রতিবাদলিপিতে জানিয়েছেন, মেহেরপুর জেলখানা ও জেলারকে নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রতিবেদক সংবাদ প্রকাশের পূর্বে জেল সুপার বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডিআইজি প্রিজন্সের মতামত গ্রহণ না করেই অন্য কারাগারের কর্মরত কারারক্ষী কম্পিউটারে ছাপা মিথ্যা অভিযোগ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। যা উদ্দেশ্যমূলক। উক্ত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।