মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বসুভান্ডারদহ গ্রামের ভ্যান চালক বুলুর স্ত্রী হিমালা খাতুন

 

 

পাঁচমাইল প্রতিনিধি: চুুয়াডাঙ্গা উপশম নাসিং হোম ক্লিনিকে পিত্তি থলে পাথর  অপারেশন করতে গিয়ে ভুল অপারেশনে মুত্রনালির নাড়ি কাটা পড়ল বসুভান্ডারদহ গ্রামের হতদরিদ্র ভ্যান চালক বুলুর স্ত্রী হিমালা খাতুনের। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে চু্য়াডাঙ্গা সদরে শংকরচন্দ্র ইউনিয়ানে বসুভান্ডারদহ গ্রামের হতদরিদ্র ভ্যান চালক বুলুর স্ত্রী হিমালা খাতুন (৪০) গত ১৫/৯ তারিখে পেটে ব্যেথা ওঠে হিমালার চিকিসা নিতে যায় চুুয়াডাঙ্গা ডা: জিন্না তারা  কিক্লিনি উপশম নাসিং হোমে সেখানে ডা: জিন্না তারা রোগিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে বলে রোগির আল্ট্রাসনো গ্রাফি রিপোট দেখে বলে রোগির পিত্তি থলেতে পাথর ধরা পড়েছে, আধা ঘন্টার মধ্যে রোগিকে অপারেশন করতে হবে নয়লে রোগির ব্যথা কমবেনা রোগির অবস্থা দেখে রোগির লোকজন অপারেশনের বন্দবাস্ত করে ১০ হাজার টাকায়। এই বিষয়ে অভিযোগ করে বলে হিমালা খাতুনের ভাই হাসিবুর রহমান তিনি বলে আমার বোন হিমালা খাতুন গরিব পরিবারে বিবাহ হয়েছে বোনের পেটে ব্যথা দেখে চুুয়াডাঙ্গা জিন্না তারা কিক্লিনিক উপশম নাসিং হোম ক্লিনিকে নিয়ে যায় সেখানে গত  ১৫/ ৯ তারিখে অপারেশন করেন ডা: নুপুর ও ডা: চৈতি। অপারেশন শেষে এক সপ্তাহ পর রোগির সেলাই কেটে বাড়িতে আনা হয় পরে রোগির  মুত্রনালি দিয়ে প্রসাব হতেই থাকে  বন্ধ হচ্ছে না প্রসাব অভিযোগ করা হয় ডা: জিন্না তারার কাছে তিনি বলে ঔষধ ওইনজেকশন লিখে দিচ্ছি ঠিক হয়ে যাবেনে, এই বলে তার লেখা দামি দামি ঔষাধ ইনজেকশন এভাবে ১মাস দিতে থাকি তাতেও কোন রকম মুত্রনালির প্রসাব বন্ধ হয়না, আমরা ডা: জিন্না তারার কাছে না বলে ডা: ওলিউর রহমান নয়নের কাছে পুনরায় রোগির আল্ট্রাসনো করি রোগির আল্ট্রাসনো রিপোট দেখে ডা:  নয়ন  বলে হিমালা খাতুনের মুত্রনালি কাটা পড়েছে সে জন্য প্রসাব বন্ধ হচ্ছেনা তিনি বলে পুনরায় রাগিকে অপারেশন করতে হবে নয়তে ভাল হবেনা। হাসিবুর রহমান আর বলেন বোন হিমালা খাতুনের যখন যে ঔষাধ আনতে বলেছে তখনি সেই ঔষাধ এনেছি এতে খরজ হয়েছে ৪০ হাজার টাকার ও বেশি। পরে বিভিন্ন জায়গায় পরমর্শ করে নিয়ে গেলাম কুষ্টিয়ায় সেখানে ডা: রাশেদুজ্জামানের কাছে   সেখানেও আল্ট্রাসনো করতে বলে ডা: রাশেদুজ্জামান রোগির আল্ট্রাসনো রিপোট দেখে বলে রোগির ভুল অপারেশন করা পড়েছে যা মুত্রনালির নাড়ি কাটা পড়েছে যা রোগিন পুনরায় ভাল করতে হলে আবার অপারেশন করতে হবে। এই বিষয়ে কথা বলা হয় হিমালা খাতুনের মেয়ে সপ্না খাতুনের সাথে তিনি বলে আমার মাকে ডা: জিন্না তারা তার খুনি ডাক্তররা ভুল অপারেশন করে মৃত্যুর মুখে এগিয়ে দিয়েছে আমার মা এখন বিছান গত প্রসাবের নালি দিয়ে অহরহ প্রসাব হয়েই যাচ্ছে পেট ফুলে গেছে আমরা এখন কোথায় যাব কার কাছে যাব যা আমার পিতা একজন সামন্য ভ্যানচালক আর কোথায় পাবে উন্নত চিকিসার টাকা হয়তো আমার মা চিকিসার অভাবে মরতে  বসেছে আমি ওই উপশম নাসিং হোম মালিক ও যারা অপারেশন করেছে তাদের দৃষ্টান্তমুলক সাস্তি চাই আর আমার মাকে ভাল করে দিক।