মুজিবনগরে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অপহরণের অভিযোগে ৫ জনের নামে মামলা

মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী অপহরণের অভিযোগে ৫ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে মহাজনপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, মেয়ের পিতার দায়ের করা মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এজাহারভুক্ত (রেকর্ড) করা হয়েছে। অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
অভিযোগে জানা গেছে, ২ জুলাই বিদ্যালয় টিফিনের সময় মোনাখালী গ্রামের আরোজ আলীর ছেলে এক পুত্র সন্তানের জনক রফিকুল ইসলাম ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই দিন রাতে রফিকুল ইসলামের মা ঝালু খাতুন ও বোন শুকতারাকে আটক করে ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন কালু ও কোমরপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই মাসুদের হাতে তুলে দেন ছাত্রীর পিতার পরিবার। পরে অবশ্য তাদেরকে ইউপি সদস্যদের জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। মেয়েকে উদ্ধারে সমাজপতিসহ বিভিন্ন মহলের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকেন মেয়ের পরিবার। কোমরপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই মাসুদ জানান- আটক দুজনকে ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন কালুর জিম্মায় রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে যেকোনো মুহূর্তে ইউপি সদস্য কালু তাদের হাজির করবেন।
অপহৃত স্কুলছাত্রীর মেজ চাচা আলী হোসেন জানান, অপহরক লম্পট রফিকুল ইসলাম প্রায় একযুগ আগে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার মেয়ে আপন খালাতো বোনকে রুমাকে বিয়ে করে। ওই ঘরে তাদের ৮ বছরের এক ছেলে রয়েছে। সে প্রায় দেড় মাস আগে সে তার স্ত্রী-পুত্রকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। পুত্রসহ স্ত্রী রুমা বর্তমানে আলমডাঙ্গায় পিতার বাড়িতে আছে। নাবালিকাকে নিয়ে রফিকুল ইসলাম ভারতে পাচার করতে পারে বলে আশঙ্ককা করছি। দ্রুত আমাদের মেয়েকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতার দাবি করেন তিনি। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর সাথে রফিকুলের প্রেমসম্পর্ক ছিলো। ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে প্রেমের জালে আটকায়। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে হয়তো তাকে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে।
মহাজনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, তাদের মধ্যে অসম প্রেম ছিলো বলে আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের তেমন কিছুই করার ছিলো না।
সংশোধনী: ছাত্রী অপহরণের বিষয়ে গতকাল শনিবার দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে তথ্যা বিভ্রাটে রফিকুল ইসলামকে শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে অভিযুক্ত অপহরক রফিকুল ইসলাম পেশায় একজন কৃষক ও এক ছেলে সন্তানের জনক। এ ঘটনার সাথে কোনো শিক্ষক জড়িত নন।