মানবতা সংস্থায় উভয়পক্ষের আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতে আড়াই লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে

 

 

মামলার আগেই মৌসুমী পেলো প্রেমের স্বীকৃতি

স্টাফ রিপোর্টার: মামলার আগেই অন্তঃসত্ত্বা মৌসুমীকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছে চুয়াডাঙ্গা পীরপুরের সুমন। গতকাল শুক্রবার মানবতা সংস্থার কার্যালয়ে সুমন তার প্রেমিকা মৌসুমীকে আড়াই লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে। মৌসুমী তার প্রেমের ফসল গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতিসহ স্বামীর সংসার পেয়ে স্বস্তির শ্বাস ছাড়লেও মানবতাকে তার সংসারের দিকে নজর রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।

মানবতা সংস্থা এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের আলুকদিয়া ইউনিয়নের পীরপুর গ্রামের মৌসুমীর (১৮) সাথে একই গ্রামের সুমন প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে দেহভোগ করতে থাকে। এক পর্যায়ে মৌসুম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বর্তমানে সে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের জন্য মৌসুমী চাপ দিলে সুমন গর্ভের সন্তান না রাখার জন্য ওষুধ খেতে বলে। বিয়ে করতে অস্বীকৃতিও জানায় সে। গ্রামের মাতবরদের নিকট নালিশ করে। সালিসের নামে কালক্ষেপণ করতে থাকে। গত ১৭ জুলাই মৌসুমী আইনগত সহায়তা চেয়ে মানবতা সংস্থায় আবেদন করে। গতকাল এ বিষয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গতকালই সুমন তার মা, দাদাসহ নিকটাত্মীয় স্বজন সাথে নিয়ে মানবতা সংস্থায় হাজির হয়ে বিয়ে করতে সম্মত হয়। খবর দেয়া হয় মৌসুমীসহ তার আত্মীয়স্বজনকে। বিকেলে মানবতা সংস্থায় কাজি ডেকে আড়াই লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ে পড়ানোর দায়িত্বটা পালন করেন আলুকদিয়া ইউনিয়নের কাজি আবুল হাসেম।

বিয়ের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন মানবতার নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার, আড. কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার, মোটিভেশন কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর, প্যানেল আইনজীবী অ্যাড. জিল্লুর রহমান জালাল প্রমুখ। বিয়ের অনুষ্ঠানে মিষ্টিমুখের আয়োজনটা সংস্থার তরফে নির্বাহী পরিচালকই সেরে নেন।