মাথাভাঙ্গা কার্যালয়ে কাটা হলো কেক : গেয়ে উঠলো গান- আজকের এই দিনে এসেছিলে তুমি

মাঝরাতে মধুর সুরে বেজে ওঠা ফোনটা ছিলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা

 

স্টাফ রিপোর্টার: তখন ঘড়ির কাঁটা ঠিক রাত ১২টা বেজে ০১ মিনিট। মাথাভাঙ্গা কার্যালয়ের টেলিফোনটি বেজে উঠলো মধুর সুরে। সম্পাদকের মোবাইলফোনে হরদম আসছে ক্ষুদেবার্তা, ম্যাসেজ। কোনটি রেখে কোনটি করবেন? ফোনটিই ধরলেন তিনি। রিসিভ করে দৈনিক মাথাভাঙ্গার সম্পাদক ও প্রকাশক সরদার আল আমিন বললেন ধন্যবাদ। দোয়া করো, পাশে থেকো।

মুখে যেন তৃপ্তির মৃদু হাসি, তখন পত্রিকা অফিসের সকলেই কেক সামনে নিয়ে সম্পাদকের জন্য অপেক্ষা। রাত ১২টা ০১ মিনিটের ফোনটা ছিলো মাথাভাঙ্গা সম্পাদক ও প্রকাশক পত্নী লুনা শারমীন শশীর। তিনি মাথাভাঙ্গা সম্পাদক ও প্রকাশক এবং চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার আল আমিনের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন। ১৮ বছর ধরে তিনি প্রতি ৪ জানুয়ারির পূর্বরাত ১২টা ০১ মিনিটে এভাবেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আসছেন। আর জন্মদিনের আয়োজন? ভর বছরজুড়ে মনে রাখার মতো পায়েস। কেকের সাথে পায়েস? সে এক অন্যরকম আয়োজন থাকবেই। এবার? সরদার আল আমিন শুধু কি তার পত্নীর? তিনি দৈনিক মাথাভাঙ্গা পরিবারের সকলের। তাই তার শুভ জন্মদিনে মাথাভাঙ্গার বার্তা বিভাগ, সার্কুলেশন বিভাগসহ মুদ্রণ বিভাগের কেউই নীরব থাকেননি। কেউ আনেন ফুল, কেউ আনেন হাসি। এবারও মাথাভাঙ্গা কার্যালয়ের সকল বিভাগের সকলের মধ্যেই ছিলো বাড়তি উৎসবের আমেজ। বাড়তি আয়োজন, বাড়তি আনন্দ। বাড়তি প্রস্তুতিতেও ছিলো না কমতি। তাই তো মাথাভাঙ্গার শুভাকাঙ্ক্ষী মাসুম উদ্দীন মণ্ডল, রিপোর্টারদের পক্ষ থেকে স্টাফ রিপোর্টার খাইরুজ্জামান সেতু, রহমান রনজু, কামরুজ্জামান বেল্টু, উজ্জ্বল মাসুদ ও মারুফের প্রচেষ্টায় কেক আগে থেকেই প্রস্তুত রেখেছিলেন। ঠিক ১২টা ০১ মিনিটে সম্পাদক পত্নীর টেলিফোনে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর তিনি মাথাভাঙ্গা কার্যালয়ে উপস্থিত সকলকে সাথে নিয়ে কাটলেন কেক। নিজে খেলেন, সকলকে মুখে তুলে খাওয়ালেন।

অবশ্য জন্মদিনের কেক দেখে সম্পাদক অবাক হতেই উপস্থিত সকলে সমস্বরে বলতে শুরু করলেন, আজ শুভ জন্মদিন, হ্যাপি বার্থডে টু ইউ। সম্পাদকও যেন ক্ষণিকের জন্য হয়ে গেলেন শিশু। কেক কাটলেন। পাশে থাকা বার্তা সম্পাদক আহাদ আলী মোল্লা ও ম্যানেজার হাসান আখতার সিদ্দিক পিন্টুসহ সকলের মুখে তুলে দিলেন। সম্পাদকের দীর্ঘায়ু কামনা করে ইতি টানা হলো মাঝরাতের আয়োজন। আয়োজনের ইতি টানার মুহূর্তে সম্পাদক বললেন, আমার মায়ের জন্য দোয়া করুন সকলে। মা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *