মাকে হারানোর পর সংগ্রামী ইমরান হারালো প্রাণ প্রিয় পিতাকে

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: মা লতা মারা গেছেন আনুমানিক ১০ বছর আগে। পিতাও মারা গেলেন গতরাতে। বড্ড একা হয়ে গেলো সংগ্রামী ইমরান। গতরাত সাড়ে ১০টার দিকে পিতা আনিছুর রহমান আনিছ মারা গেলে ইমরান কান্নায় ভেঙে পড়ে।

ইমরান চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি সংবাদপত্র বিক্রয় প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করে। এসব করে অর্জিত অর্থ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা কলেজপাড়ার একটি হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। গতরাতে খানেকটা হঠাত করেই শোনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মারা গেছে পিতা আনিছুর রহমান। খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে পিতার মৃতদেহ দেখে বেসামাল হয়ে পড়ে। লাশ নেয়া হয় গ্রামের বাড়ি মেহেরপুর জেলা সদরের পিরোজপুর ইউনিয়নের বলিয়ারপুরে। সেখানেই আজ দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে।

ইমরানের পিতা আনিছুর রহমান বলিয়ারপুরস্থ নিজ বাড়ি সংলগ্ন মুদি দোকানদারি করতেন। গতকাল দুপুরে দোকানেই বসে ছিলেন তিনি। বেলা ২টার দিকে কাশি শুরু হয়। একই সাথে শুরু হয় রক্তক্ষরণ। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার এক পর্যায়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান তিনি। খবর পেয়ে প্রেসক্লাব সেক্রেটারি সরদার আল আমিন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, দৈনিক মাথাভাঙ্গার সাকুর্লেশন ম্যানেজার রানা মাসুদসহ সংশ্লিষ্টরা হাসপাতালে ছুটে যান। রাতেই মৃতদেহ নিজ গ্রামে নেয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের অফিস সহকারী ইমরানের পিতার মৃত্যুতে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ এক শোকবার্তায় শোকসন্তুপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। একই সাথে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়েছে।