মহেশপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুরের খালিশপুর বাজারে অবস্থিত অবৈধ আবদুল আজিজ ক্লিনিকে আবার নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। কোনো ডাক্তার বা নার্স ছাড়াই চলছে রমরমা ব্যবসা।
প্রাপ্তসূত্রে প্রকাশ, গত রোববার সন্ধ্যার দিকে কোটচাঁদপুর উপজেলার আসাদুল ইসলামের স্ত্রীর প্রসাব যন্ত্রণা শুরু হলে খালিশপুর বাজারের আবদুল আজিজ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকে কোনো ডাক্তার এবং ডিপ্লোমা নার্স না থাকাই রোকেগী প্রাথমিক কোনো চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়নি। পরে রাত ১২টার দিকে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে চুয়াডাঙ্গা থেকে ডাক্তার হাসানুজ্জামান নুপুরকে নিয়ে এসে অপারেশন করানো হয়। একটি কন্যা নবজাতকের জন্ম হয়। ডাক্তারের ভুল অপারেশন ও ক্লিনিকের অব্যবস্থাপনায় নবজাতকের মৃত্যু হয়। নবজাতকের মৃত্যু হলে ওই পরিবারের লোকজনের সাথে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের ব্যাপক গোলযোগ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে গোপনে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পরিবারের সাথে সমঝোতা করে।
উল্লেখ্য, ক্লিনিকের মালিক আব্দুল হামিদ লালন শাহ ক্লিনিক নামে একটি অবৈধ ক্লিনিক পরিচালনা করতেন। ২০১৫ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ক্লিনিকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এবং অপচিকিৎসায় রোগী ও নবজাতক মারা যাওয়ার কারণে ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কাছে ভবিষ্যতে আর ক্লিনিকের ব্যবসা করবেন না এই মর্মে মুচলেকা দেন। কিন্তু সেই প্রতারক আব্দুল হামিদ একই স্থানে আবারো আবদুল আজিজ নামে একটি নতুন অবৈধ ক্লিনিক গড়ে তোলেন। বর্তমানে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে কোনো হাইড্রোলিক টেবিল নেই, ডিপ্লোমা কোনো নার্স নেই, ইমার্জেন্সি লাইট নেই, অজ্ঞান করার জন্য কোনো এ্যনেসথেশিয়া মেশিন নেই, রক্ত বন্ধ করার জন্য ডায়াথামি মেশিন নেই।
এ ব্যাপারে ক্লিনিকের মালিকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি ব্যস্ত আছি বলে মোবাইল রেখে দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জেলা সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার তদরকির অবহেলার কারণে এই সব ক্লিনিকগুলো গড়ে উঠেছে। খুব শিগগিরই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।