মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগতদন্তে প্রমাণ মিললেও ব্যবস্থা গ্রহণে মুসল্লিদের ক্ষোভ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা কোর্ট জামে মসজিদে মুসল্লিদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এ তথ্য জানিয়ে স্থানীয়রা বলেছেন, এ মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলেও কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা কোর্ট মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে তার বড় মেয়ে নাজমা খাতুন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। ছোট মেয়েকে অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেয়ার পর তারও দাম্পত্য বিচ্ছেদ ঘটেছে। এ ছাড়া ইমাম মসজিদের কোয়ার্টারে বসে কবিরাজি চিকিৎসা করতেন। রোগীদের বেপর্দার সাথে আসা যাওয়ার কারণে মসজিদের পবিত্রতাও ক্ষুন্ন হতো। এসব অভিযোগ উত্থাপনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জেলা তথ্য অফিসার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক ও এনডিসি যৌথভাবে তদন্ত করেন। প্রতিবেদনও পেশ করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে মসজিদ কোয়ার্টারে কবিরাজি করতেন এবং ছোট মেয়েকে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই বিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। অপরদিকে অভিযোগকারীদের বেশ কয়েকজন মুফতির নিকট থেকে অভিযুক্ত ইমাম আর ইমামতি করতে পারেন কি-না সে বিষয়ে ফতুয়াও সংগ্রহ করেছেন। ফতুয়ায় ইসলামের দৃষ্টিতে যুক্তি দেখিয়ে এবং হাদিসের বরাত দিয়ে ইমামকে তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পক্ষেই বলা হয়েছে।

মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন এবং তদন্তে তার প্রমাণ মেলার পরও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যেও বেড়েছে ক্ষোভ। দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়া হলে আসন্ন রমজানে সংকট বাড়তে পারে বলেও মন্তব্য স্থানীয় মুসল্লিদের। ফলে জেলা প্রশাসকের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।