ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গায় কুতুবপুর ইউনিয়নে কর্মসৃজন ও টিআর কাবিখার টাকা লোপাট

 

 

স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নে কর্মসৃজন ও টিআর কাবিখার কোটি কোটি টাকা লোপাটের মহোৎসব চলছে। এলাকাবাসী এ অভিযোগ করে বলেছে,যে যেমন পাচ্ছে সরকারি টাকা লুটে নিচ্ছে। নিয়মের তোয়াক্কা না করে সরকারি বরাদ্দ নিয়ে রীতিমতো হরিলুট চলছে।

অভিযোগকারীরা বলেছেন, লুটপাটে পত্যক্ষ বা পরক্ষ্যভাবে সহায়তা করছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার। প্রকল্প প্রতি তাদের মাসোহারা দিয়ে সরকারি চাল-গমের কাজ না করেই বিক্রি করে পকেটস্থ করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাও এ লুটপাটের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও হতবাক। তবে তারা অনেকটা দেখেও না দেখার ভান করছেন। তদন্ত করে এ পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এমন নজির নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ বছরে ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে কুতুবপুর ইউনিয়নে টিআর, কাবিখা ও কর্মসৃজনের প্রায় কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। অভিযোগকারীরা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর হাজির খালের রাস্তা,হাসানহাটি,ভুলটিয়া,মোহাম্মদজুমা,শাহাপুর,বোয়ালিয়া,দশমীসহ কয়েকটি রাস্তায় মাটি ভরাটে কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় সাড়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ১২০জন মহিলা ও পুরুষ শ্রমিক ৫দিনের কাজ করার কথা থাকলেও তাদেরকে মাত্র ৩দিন কাজ করিয়ে নিয়ে ৫দিনের মজুরি উত্তোলন করে বাকিদু দিনের টাকাসহ শ্রমিকের মাথাপিছু ৩০টাকা হারে কর্তন করে হাজার হাজার টাকা ভুয়া শ্রমিক দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। কুতুবপুর ইউনিয়নের তৎকালীন ট্যাগ অফিসার একদিনও কাজ দেখতে ইউনিয়নের মাঠে বা রাস্তায় যাননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে আবুল আমিন কর্মরত থাকাকালে তিনি মাঝে মধ্যে ইউনিয়নে গেলেও মোহাম্মদজুমা গ্রামে কর্মসৃজন কাজ দেখতে গিয়ে কোনো শ্রমিক কাজে না পেয়ে ওই দিনের কাজের বেতন বন্ধ করে দেন। অথচ বিভিন্ন প্রকল্পের নামে চেয়ারম্যান মেম্বাররা প্রায় দেড় লাখ টাকার টিএডিএ তুলে নিয়েছেন। বর্তমান জেলার বিভিন্ন স্থানে কর্মসৃজনের কাজ কাগজ-কলমে শুরু হলেও বাস্তবে হয়নি।

তারপরও ভুয়া কাগজ তৈরি করে কুতুবপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ কুতুবপুর ইউপিতে যেমনভাবে হওয়ার কথা থাকলেও তেমনভাবে কোনো কাজ হয়নি বলে এলাকার একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন। তাছাড়া কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়নে অতিদরিদ্রদের আধিক্য দেয়ার সরকারি নির্দেশ পদে পদে লংঘন করা হচ্ছে। ভুয়া শ্রমিক সাজিয়ে হতদরিদ্রদের টাকা পকেটস্থ করতে ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে চেয়ারম্যান ইউপি সচিকসহ মেম্বাররা বেশি ব্যস্ততা থাকার অভিযোগওরয়েছে।