ভালো ফলাফল করেও লেখাপাড়া অনিশ্চয়তার মধ্যে : বাধা দারিদ্র্য

স্টাফ রিপোর্টার: ভালো ফলাফল করেও আজ লেখাপড়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে মেধাবি ছাত্র আলমগীর হোসেনের। সে চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক মানোয়ার হোসেনের ছেলে। আলমগীর তিতুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু বাধা দরিদ্রতা। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়েই চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হয়েছে। এখন কে কিনে দেবে বই আর কে বা চালাবে লেখাপড়ার খরচ। এতোদিন তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোতিগায় লেখাপড়া চালিয়ে আসছিলো।

আলমগীর হোসেন জানায়, আমরা ৪ ভাই। পিতা ভ্যানচালক বড় ভাইও ভ্যানচালায়। আমি লেখাপড়া করছি। আমার আরেক ভাই ৩য় শ্রেণিতে পড়ে। ছোট সে তো এখনো স্কুলে যেতে শেখেনি। একদিকে দরিদ্র তারপর বড় পরিবার। সব সময় অভাব লেগেই থাকে। অনেক কষ্টে এসএসসি পাস করলাম। ভালো ফলও হলো। ভাবছি ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করবো। দরিদ্ররা কেউ যেনো চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়। সেই স্বপ্ন নিয়ে অনেক কষ্টে কলেজে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু বই কিনতে পারিনি। পিতা আর বড় ভাই যা উপার্জন করে তা দিয়ে কোনো রকম সংসার চলে। লেখাপড়ার খরচ দেবে কীভাবে। আমি কোথাও উপবৃত্তি বা শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছিনা। এখন আমার লেখাপড়া চলবে কীভাবে? তাহলে কী আমি ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে পারবো না। গতকাল বুধবারবিকেলে দৈনিক মাথাভাঙ্গা অফিসে এসে এভাবেই কথাগুলো বলছিলো আলমগীর। সে অষ্টম শ্রেণিতেও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছিলো। আলমগীরের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন এখন শুধু দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমাজের বিত্তবানরা সহযোগিতার হাত বাড়ালে তার স্বপ্ন পূরণ হতে পারে।