ভারতীয় গরু আমদানি ও চোরাচালান বন্ধের দাবিতে গাংনীতে ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধন

 

গাংনী প্রতিনিধি: বাংলাদেশের মূল চালিকা শক্তি ‘কৃষি’ ও কৃষক রক্ষায় আবারো রাজপথে নেমেছে ওয়ার্কার্স পার্টি। দেশের উদীয়মান সম্ভাবনা খাত ‘গবাদি পশু পালন’ কার্যক্রমের দিকে সরকারের বিশেষ নজর দেয়ার দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। কোরবানির আগে ভারতীয় গরু আমদানি এবং চোরাচালান বন্ধের দাবিতে গতকাল রোববার মেহেরপুর গাংনী প্রেসক্লাবের সামনে সড়কে মানববন্ধন করা হয়েছে। ওয়ার্কার্স পার্টি’র অঙ্গ সংগঠন জাতীয় কৃষক সমিতি গাংনী শাখা আয়োজিত মানববন্ধন শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ। প্রধান অতিথি হিসেবে গরু আমদানি, চোরাচালনা বন্ধ ও দেশীয় প্রাণিসম্পদের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড আব্দুল মাবুদ। বক্তৃতায় তিনি বলেন, চাষাবাদের পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালনে স্বনির্ভর হচ্ছেন চাষিরা। বর্তমানে বাংলাদেশ এ খাতে অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে গেছে। দেশের পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে কয়েক বছরের মধ্যে হয়তো বিদেশেও রফতানি করা যাবে মাছ ও মাংস।

কৃষি অর্থনীতি এখনো দেশের মূলভিত্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যক্তি ও খামার পর্যায়ে দেশে বিপুল পরিমাণ গরু পালন হচ্ছে। যা কোরবানির চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু প্রতি বছর কোরবানির আগে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় গরু আসার ফলে দেশীয় গরু পালনকারীদের পথে বসার উপক্রম হচ্ছে। যার ফলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা পুঁজি হারিয়ে এ খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। এতে সম্ভাবনাময় পশু পালন ধ্বংস হতে পারে।

ভারত ও নেপাল থেকে গুরু আমদানী আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত আখ্যায়িত করে তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের কৃষকরা বিদেশে মাংস রফতানির স্বপ্ন দেখেন। বর্তমান বাজারে গো-খাদ্য ও পশু চিকিৎসার খরচ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেলেও সংগ্রামের মধ্যদিয়ে পশু পালন অব্যহত রেখেছেন দেশের লাখ লাখ চাষি। তাই পশু পালন কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মানববন্ধন শেষে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামানের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর কাছে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমরেড মজনুল হক মজনু, কমরেড আবুল হাসেম, উপজেলা কৃষক সমিতির সভাপতি আরোজ আলী, আশরাফুল হক, গোলাম হোসেন, গাংনী উপজেলা যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান, দফতর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জয়সহ নেতাকর্মীবৃন্দ।