বিরোধী দলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন

ধর্মের ওপর আঘাত এলে প্রতিরোধ

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিরোধীদলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, কোনো ধর্মের ওপর কেউ আঘাত করলে আমরা সম্মিলিতভাবে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করবো। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ সম্মিলিতভাবে বসবাস করে। গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর ইস্কাটনস্থ লেডিস ক্লাবে শুভ বিজয়া উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিরোধী নেতা বলেন, সবার মধ্যে একটা ভুল ধারণা, বিএনপির সাথে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটা দূরত্ব রয়েছে। আসলে এটা ঠিক নয়। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মিলিত হই। আমাদের মধ্যে সব সময় সম্প্রীতি ও সুসম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে এই সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় হবে। খালেদা জিয়া বলেন, হিন্দুরা সংখ্যায় কম বলে সংখ্যালঘু আর আমরা সংখ্যায় বেশি বলে সংখ্যাগুরু- এ তথ্য ঠিক নয়। আমরা সবাই বাংলাদেশি। এটাই আমাদের পরিচয়। শিশুদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যে বৈষম্য রাখলে চলবে না। তাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি। ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বলেন, বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে মন্দির ও মন্দির ভিত্তিক পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। রমনা কালী মন্দির সংস্কার করেছি। আগামীতেও আমাদের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। রাজনৈতিক প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বলার জন্য আহ্বান জানালে খালেদা জিয়া বলেন, এখানে একটি সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। এই পরিবেশে আমি রাজনৈতিক কোনো কথা বলবো না। রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকের পরে রাজনৈতিক বিষয়ে আপনাদেরকে জানানো হবে। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারা বিরোধী নেতাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া আরও সহস্রাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সারিবদ্ধভাবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময়  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্রি. জে. (অব.) আসম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহআইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই  রায়চৌধুরী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।