বাল্যবিয়ের শিকার গৃহবন্দী মিমিনা ফিরে যেতে চায় পিতার বাড়ি

 

 

 

আমঝুপি প্রতিনিধি: কিশোরী মিমিনা খাতুনকে (১৪) স্বামীর বাড়িতে বন্দী করে রাখা হয়েছে। সেই সাথে তার ওপরে চলছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এভাবেই অভিযোগ করেছেন মিমিনার পিতা-মাতা। গত ৫ মাস আগে বাল্যবিয়ের শিকার হয় মিমিনা। গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে মিমিনার সাথেআমঝুপি ইউনিয়নের শ্যামপুর মিরপাড়া গ্রামের জমির আলীর বিয়ে হয়। এরপর যৌতুকের দাবিতে স্বামী জমির আলী তাকে বাড়িতে নববধূ মিমিনাকে গৃহবন্দী করে রাখেন। এ বিষয়ে গত ১৪ জুলাই মিমিনার মা শাহানারা খাতুন ও পিতা রবিউল ইসলামতাদের মেয়েকে উদ্ধারের জন্য মানবাধিকার সংগঠন আমঝুপি মানব উন্নয়ন কেন্দ্রে (মউক) লিখিত অভিযোগ করেন। মউক ৫ সদস্য বিশিষ্ট টাস্কফোর্স গঠন করে সরেজমিনে পরিদর্শনের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা জানতে পারে। তারা মিমিনার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে মিমিনার সাথে কথা বলেন।মিমিনা জানায় সে বাল্যবিয়ের শিকার। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার সে। মিমিনা বিভিন্ন রকমের রোমহর্ষক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বর্ণনা দেয়। এ বিষয়ে মিমিনার স্বামী জমির আলী ও শ্বশুর আনারুল ইসলামের কাছে মিমিনাকে পিতার বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব রাখার সাথে সাথে ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগালিসহ অসদাচরণ করে এবং বিভিন্ন হুমকি দেয়।