ফেসবুক প্রতারণা

স্টাফ রিপোর্টার: সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এখন ফেসবুক। বন্ধু খোঁজা আর বন্ধুত্ব বাড়ানোর বিস্তীর্ণ প্লাটফর্ম। ফেসবুকে বন্ধুত্বের সীমা স্থান, বয়স আর দেশের গণ্ডি মানে না। আর এ অসম বন্ধুত্বের বেড়াজালে আটকে অনেকে হচ্ছেন সর্বস্বান্ত। ঘর ভাঙছে, প্রতারিত হয়ে সম্মান হারাচ্ছেন। আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। অনলাইন দুনিয়ায় প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে অনেক বিখ্যাত মানুষও নাস্তানাবুদ হচ্ছেন। লজ্জায় মুখ লুকাতে হচ্ছে আপনজনের কাছে। ভুয়া আইডি খুলে প্রতাণারও মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে এ মাধ্যম। ভুতুড়ে-আজগুবি প্রতারকচক্র ভক্ত বা প্রেমিক সেজে ফেসবুকে বন্ধু হয়ে কেড়ে নিচ্ছে অর্থ-বিত্ত-চরিত্র সবই। ভুয়া আইডি খুলে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে প্রেমিকের সাথে তোলা অন্তরঙ্গ ছবি, ভিডিও। প্রতারিত, ব্যর্থ ও হতাশ হয়ে আত্মহত্যায় মুক্তি খুঁজছে কেউ কেউ। ফেসবুকে ভুয়া আইডির মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন সেলিব্রিটি বা তারকারা। এজন্য সামাজিক অবক্ষয় আর অসচেতনতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফেসবুক বন্ধুর প্রেমে সব হারানো এমনি একজন হচ্ছেন রাজধানীর এক প্রকৌশলীর কন্যা লামিয়া নূর (১৯)। ঢাকা সিটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এ ছাত্রীর সাথে ফেসবুকে প্রেম হয় ফয়সালের। কেউ কাউকে দেখেননি। তবুও প্রেমে পড়েছেন একে অপরের। পরে পরস্পরের সাথে দেখা করেন। সম্পর্ক আরও গভীর হয়। লামিয়ার এক বান্ধবী জানান, আমাদের কাছে প্রায়ই ফয়সালের কথা বলতো সে। বলতো, ফয়সালকে না পেলে থাকতে পারবে না। তাদের সম্পর্ক ছিলো গভীর। ওরা বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলো। মাঝে মধ্যেই এসব নিয়ে ওদের ঝগড়া হতো। ফেসবুকে প্রেম হয়ে গভীর সম্পর্ক হলেও ফয়সাল তাকে বিয়ে করতে রাজি ছিলো না। এমন অবস্থায়ই লামিয়া নূর আত্মহত্যা করেন গত মঙ্গলবার বিকেলে। তবে ফয়সালকে এখনও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। কলাবাগান থানার এসআই আজগর আলী জানান, প্রেমে ব্যর্থতার কারণেই লামিয়া আত্মহত্যা করেছে। এর প্রমাণ সে রেখে গেছে। কিশোরগঞ্জের নবম শ্রেণির ছাত্রী হাসি আক্তার জ্যোতিকেও (১৪) কেড়ে নিয়েছে ফেসবুক প্রতারণা।