ফলোআপ: জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ার নৈশপ্রহরী মন্টু হত্যা মামলায় আটক ৩ জনকে জেলহাজতে প্রেরণ

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ার নিহত নৈশ্রপ্রহরী মন্টু হত্যা মামলায় থানা পুলিশের হাতে আটক ৩ জনকেই জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ফকির আজিজুর রহমান ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাদের জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে জয়রামপুর চৌধুরীপড়ার দোহারধারে খাসজমিতে বসবাসরত মৃত ছমির উদ্দিন ওরফে নূর হোসেনের ছেলে ওই দোহার নৈশপ্রহরী মন্টুকে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসীরা তার বাড়িতে ঢুকে অতর্কিত ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলাকেটে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সাথে জড়িত ঘাতকদের ধরতে পুলিশ রাতেই জোর তৎপরতা শুরু করে এবং জয়রামপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে জাহিদ (২৮), একই গ্রামের ডাক্তারপাড়ার লালচাঁদ মণ্ডলের ছেলে বাবু (৩৫) ও বারুইপাড়ার মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে আসান ওরফে তোতাকে (৩৫) গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা তারা স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ আসানের বাড়ি থেকে ২টি ডাসা, ৩টি ভুজালি ১টি চাকু এবং জাহিদ ও বাবুর বাড়ি থেকে একটি করে হেঁসো উদ্ধার করে।

পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। বিকেলে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পিতার কবরের পাশেই তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। নিহত মন্টুর মা হাজেরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করে দামুড়হুদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেফতার করলেও গোটা জয়রামপুরে এখনও বিরাজ করছে খুন আতঙ্ক। দোহারধার এলাকায় সরকারি খাসজমিতে বসবাসরত মৃত রমজান মণ্ডলের ছেলে শাহাবদ্দিন ওরফে বদ্দি, অপর বাসিন্দা তুলাশ্রমিক মৌসুমীর নানি রাবেয়া খাতুন ও নিহত মন্টুর মা হাজেরা বেগম, স্ত্রী মনমিলা খাতুন সন্তানসহ সকলেই খুন আতঙ্কে নিজ নিজ পরিবার নিয়ে এলাকা ত্যাগ করেছে। জয়রামপুরের বেশকিছু সাধারণ জনগণ এলাকায় আবারও হত্যাকাণ্ডের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এলাকায় ধারাবাহিকভাবে খুনসহ রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় ৩ জনকে পুলিশ আটক করলেও নেপথ্যে থেকে যাচ্ছে ওই গ্যাঙগ্রুপের গডফাদাররা। ওই গ্যাঙগ্রুপের গডফাদার কারা তাদেরকে চিহ্নিত করে আটকের জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।