ফলোআপ: চুয়াডাঙ্গা খাড়াগোদার শাহাদত ভাগ্যের চাকাঘোরাতে বিদেশে পাড়িদিতে গিয়ে হলো লাশ

 

 

সোয়া ২ লাখ টাকায় রফা :কান্না থামছেনা শাহাদতের পরিবারে

স্টাফরিপোর্টার: যেন কান্না থামছে না চুয়াডাঙ্গা সদরের খাড়াগোদা গ্রামের শাহাদতের মা বাবার। দেড় বছরের শিশু সন্তান ফারহানাকে কোলে নিয়ে চরাম হতাশাই পড়েছে স্ত্রী মুক্তা। সংসারের অভাব অনটন ঘোচাতে বাড়ির কাউকে না বলে কথিত আদম ব্যাপারি ছাদেক ও জামিরের কথায় প্রলুব্ধ হয়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে গিয়ে লাশ হতে হয় শাহাদতকে। শাহাদতকে নির্যাতন শেষে পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ করা হলেও অবশেষে সোয়া ২ লাখ টাকায় আপোষ মিমাংসা করে নেয় কথিত আদম ব্যাপারিরা।

জানাযায়, সংসারের স্বচ্ছলতা আনতে মা বাবাকে না জানিয়ে গত ১৫ জুলই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদা গ্রামের ৩ যুবকের সাথে সোনাই মণ্ডলের ছেলে এক সন্তানের জনক শাহাদত হোসেন মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। থাইলে- পৌছুলে কথিত আদম ব্যাপারি একই গ্রামের ছাদেক ও জামির শাহাদতকে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়ে দিয়েছি বলে দাবি করে তার পরিবারের নিকট ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। শাহদাতের ভাই সিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, আদম ব্যাপারির দাবিক্রিত টাকার মধ্যে ১ লাখ টাকা পরিষোধও করি। বাকি টাকা ভাইয়ের সাথে কথা বলার পর পরিষোধ করব বলে জানায়। হঠাত খবর আসে আমার ভাই শাহাদতকে দালালরা হত্যাকরে সাগরের পানিতে ফেলে দিয়েছে। ছাদেক ও জামিরুল হত্যার বিষয়টি জনলেও বাকি টাকা আদায়ের জন্য কথাটি গোপন রাখে। ভাইয়ের লাশটি ফেরত পেতে তাদের কাছে গেলে হুমকি ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। শাহাদতের হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তার লাশটি ফেরত পাবার জন্য ছাদেক ও জামিরের নিকট ধন্যা দিতে থাকে তার পরিবারের লোকজন। শাহাদতের পরিবারের লোকজন আইনের আশ্রয় নিতে গেলে নড়েচড়ে বসে আদম ব্যাপারিরা। এ নিয়ে গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে খাড়াগোদা বাজারে বসে সালিশ বৈঠক। দীর্ঘ শুনানী এবং দরকষা কষির একপর্যায় শাহাদতের লাশ ফের দিতে না পারলেও তার পরিবারকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা আগামী মাসের ৬ তারিখের মধ্যে কথিত আদম ব্যাপারিরা দিবে। এদিকে শাহাদতের লাশ ফেরত না পাওয়ায় কান্না থামছে না নিহত শাহাদতের মা বাবার। কোন ভাবেই নিজেকে বুঝ দিতে পারছে না কোলে দেড় বছরের শিশু সন্তান নিয়ে স্ত্রী মুক্তা।