প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে নির্বাচনের দিকনির্দেশনা পেয়েছে ইসি

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভাষণে নির্বাচনের আইনগত দিকনির্দেশনা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ। তিনি বলেছেন, নির্বাচন বিষয়ে আইনগত যেসব নির্দেশনা প্রয়োজন সেসব আমরা পেয়েছি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ থেকে। আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারির মধ্যেই যে নির্বাচন হবে তা এ ভাষণ থেকে স্পষ্ট হয়েছে। গতকাল রোববার শেরোবাংলা নগরে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী

আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হবে। সে অনুযায়ী আচরণবিধি প্রণয়নসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। যারা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করবেন এবং যারা ক্ষমতার বাইরে থেকে নির্বাচন করবেন, তাদের জন্য আচরণবিধিতে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে। তবে কোনো ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে তা রাজনৈতিকভাবেই সমাধান হতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

শাহ নেওয়াজ বলেন, এখন পর্যন্ত বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্য আচারণ বিধির কাজ চলছে। প্রথম কাজ হিসেবে আমাদের অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে। হাতে সময় কম। তবু আমরা যথেষ্ট সময় দিয়ে এটা করবো। সংসদ সদস্যরা যেন কোনো প্রকার বাড়তি সুযোগ-সুবিধা না পায় এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। আচরণবিধি নির্বাচন-পূর্ববর্তী সময়ে কার্যকর হবে। আচরণবিধির খসড়া প্রণয়নের পর তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। তাদের পরামর্শ নিয়ে বিধি চূড়ান্ত করা হবে।

কাউন-ডাউন শুরু হলে নির্বাচনী সভা সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু এবার তার আগেই নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে-এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। এটা সরকারের ব্যাপার। পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে সরকার কী করবে এটা আমাদের দেখার বিষয় না। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই আমরা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করবো। রাষ্ট্রপতি সাথে নির্বাচন কমিশন সাক্ষাৎ করবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাজের প্রয়োজনে যে কোনো কর্মসূচি ঠিক করতে পারি। তবে আগে থেকে এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।

 উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী ২৫ অক্টোবর থেকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একইসাথে তিনি নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন। এ জন্য তিনি বিরোধীদলীয় নেতার কাছে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের নামও চেয়েছিলেন।