পুলিশ পার্কের নাগরদোলা থেকে পড়ে নিহত শিশু রিদুর দাফন সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার: সকলকে শোক সাগরে ভাসিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছে শিশু রিদু। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গার জান্নাতুল মওলা কবরস্থান জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। রিদুর সহপাঠীই শুধু নয়, বিদ্যালয়ের সকল শ্রেণির শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আইনজীবী সাংবাদিসসহ সর্বস্তরের মুসল্লি নামাজে জানাজায় শরিক হন। আজ বাদ আসর রিদুর পিতা অ্যাড. ইমতিয়াজ আহমেদ উজ্জ্বলের সাদেক আলী মল্লিকপাড়াস্থ নিজ বাড়িতে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
ইসতিয়াক আহম্মেদ রিদু চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রভাতী মালতী শাখার মেধাবী ছাত্র ছিলো। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের ছুটির পর গতকালই খোলে তার বিদ্যালয়। ছুটির পর প্রথম দিনে গতকাল বিদ্যালয়জুড়ে নেমে আশে শোকের ছায়া। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে যেমন শিক্ষকদের তেমন মন বসেনি, তেমনই পাঠগ্রহণে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের বদলে পরশু সন্ধ্যায় পুলিশ পার্কের নাগরদোলা থেকে আছড়ে পড়ে নিহত রিদুর জন্য মন কেঁদেছে তাদের। সকাল ১১টায় জান্নাতুল মওলা কবরস্থানে দাফন ও নামাজে জানাজায় শরিক হওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যালয় সাড়ে ৯টার দিকেই ছুটি দেয়া হয়। অপরদিকে রিদুর পিতা একজন আইনজীবী। ফলে আইনজীবীদের প্রায় সকলেই শরিক হন শিশু রিদুর নামাজে জানাজায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তরিকুল ইসলাম ঘটনার পর থেকে ঘুরে ফিরেই শোকার্ত পরিবারের পাশে সহমর্মিতা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। নামাজে জানাজা ও দাফন কাজে শরিক হন তিনিও। সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক, ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হক উজ্জ্বলসহ জেলা পর্যায়ের পদস্থ বহু কর্মকর্তাকেও শরিক হতে দেখা যায়। দাফন শেষে দোয়া পরিচালনা করেন জান্নাতুল মওলা কবরস্থান জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা হারুন-অর রশিদ।
গতপরশু শুক্রবার রিদু তার চাচাতো, ফুফাতো ও প্রতিবেশী ৪ ভাই-বোনের সাথে পুলিশ পার্কে বেড়াতে যায়। বিদ্যুতচালিত নাগরদোলায় উঠে শিশু রিদু মোবাইলফোনে নিজের ছবি নিজেই তুলতে গিয়ে উঠে দাঁড়ায়। মাথায় লাগে নাগারদোলার রড। আছড়ে পড়ে। অপর নাগরদোলার অপর দোলনা এসে তার মাথায় আঘাত করে। রক্তাক্ত জখম রিদুকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। রিদু ছিলো তার পিতা মাতার একমাত্র সন্তান।