পরাজিত প্রার্থীর পক্ষের অতর্কিত হামলায় শিক্ষকসহ আহত ৪

দামুড়হুদার কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

 

কুড়লগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি নির্বাচিত করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। পরাজিত প্রার্থীর অতর্কিত হামলায় আহত হয়েছেন শিক্ষকসহ ৪ জন। এ ঘটনায় অভিভাবক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, অভিভাবক নির্বাচন হয় গত ৪ আগস্ট। চারজন ও একজন মহিলা সদস্যসহ পাঁচজন বিনাপ্রতিন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হন। বিদ্যালয়ে গঠনতন্দ্র অনুযায়ী ৪ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা অভিভাবক সদস্যরা হলেন দাতা সরোয়ার হোসেন, রেজাউল করিম, আনোয়ার হোসেন মন্টু, রফিকুল ইসলাম, রেজাউল হক,  শরিফা খাতুন, শিক্ষক প্রতিনিধি মাসুম রেজা, শাহিন ইকবাল, রাহিমা খাতুন নির্বাচিত হন। এদের মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে বিদ্যলয়ের অফিসকক্ষে সভাপতি নির্বাচিত হয়। এ নির্বাচনে নাটুদহ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি রেজাউল করিমের পক্ষে ৬ ভোট এবং কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজির আহম্মদ ৩ ভোট পান। পরাজিত প্রার্থী  নজির আহম্মদের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায় নির্বাচিত সভাপতি রেজাউল করিমের সমর্থকদের ওপর। এ সময় নজির আহম্মদের লোকজনের হাতে বেধড়ক মারপিটের শিকার হন শিক্ষক আব্দুল হামিদ, অভিভাবক সদস্য মন্টু ও  সিরাজুল ইসলামসহ অনেকেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনায় এলাকার সচেতন মানুষের মধ্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী রহমান বলেন, এ ঘটনার জন্য পরাজিত প্রার্থীর লোকজন দায়ী।

এদিকে দামুড়হুদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার শাহ বলেন, সভাপতির নাম ঘোষণার পরপরই পরাজিত প্রার্থীর লোকজন এ ধরনের ঘটনা ঘটান। তিনি আরও বলেন, এ সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। আমাদের সামনেই অপ্রীতিকর ঘটনা খুবই দুঃখজনক।