নবজাতক জন্ম দেয়া সেই শিউলিকে তালাক

 

কবীব দুখু মিয়া/কে.এ মান্নান:চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ভুলটিয়া শেখপাড়ার মেয়ে শিউলি খাতুন বিয়ের তিন দিনের মাথায় সন্তান প্রসব করায় তাকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তালাক দিয়েছে তার স্বামী।

জানা গেছে, ভুলটিয়া শেখপাড়ার কেয়ার মেয়ে শিউলি খাতুনের (১৮) বিয়ে হয় গত ২০জুন শুক্রবার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের পান্না বিশ্বাসের ছেলে শরিফ উদ্দিনের সাথে। বিয়ের ৩ দিনের মাথায় স্বামীরগৃহে ফুটফুটে নবজাতকের জন্ম দেয় শিউলি খাতুন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে নবজাতক শিশুর জন্মদাতা কে এ প্রশ্ন সামনে নিয়ে ভুলটিয়া ও আদর্শ আন্দুলিয়া এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি চলছে।নববধূ শিউলি খাতুন তার শিশুসন্তান নিয়ে স্বামী সংসারের ঠাঁই হয়নি। শরিফ উদ্দিন নববধূ শিউলিকে দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করে তালাক দিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

বিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বিয়ে পড়ান একই পাড়ার জামে মসজিদের ইমাম কাজী হাবিবুর রহমান। বিয়ের ২দিনের মাথায় নববধূ স্বামীগৃহে সন্তান প্রসবের আকস্মিক বেদনায় দুমড়েমুচড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে নববধূ শিউলিকে হরিণাকুণ্ডুর একটি ক্লিনিকে ডাক্তারের কাছে নেয়া হয়। চিকিৎসক নববধূকে দেখে হাসিমুখে জানিয়ে দেন,এখনই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে সন্তান প্রসব হবে। গত মঙ্গলবার সকালে নববধূ শিউলির গর্ভের ফসল ফুটফুটে নবজাতক হাত-পা ছুঁড়ে পৃথিবীর আলোর মুখ দেখে। নববধূ শিউলির আকস্মিক নবজাতকের জন্মদাতাই কে?প্রশ্ন নিয়ে নববধূর পিত্রালয় ও স্বামীগৃহে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। গত বুধবার সকালে নববধূ শিউলিকে নগদ ৩০হাজার টাকা দেনমোহর দিয়ে তালাক দিয়ে স্বামী শরিফ উদ্দিন। নবজাতকসহ নববধূ শিউলি তার পিত্রালয় ভুলটিয়ায় ফিরে আসার কথা থাকলেও গ্রামের সাধারণ মানুষের প্রশ্নের জবাব দেয়ার ভয়ে তাদেরকে দখলপুর এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাখা হয়। অন্যদিকে ভুলটিয়া গ্রামের অনেকেই বলেছে শিউলি ঢাকায় থাকা অবস্থায় অন্যান্য পুরুষের সাথে মেলামেশা করে তার গর্ভে সন্তান এসে থাকতে পারে। তাছাড়া শিউলি ভুলটিয়া গ্রামে একটি বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে দর্জির কাজের প্রশিক্ষণ নেয়। সেখানে অনেক ছেলের সাথে ছিলো তার চলাফেরা। তবে এ প্রতিবেদন লেখার সময় শিউলির বাড়িতে সত্যতা জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে শিউলির মাতা-পিতার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।