নজিরবিহীন ধর্মঘট

 

স্টাফ রিপোর্টার: মানুষের জীবন রক্ষাকারী ওষুধ বিক্রি না করে দাবি আদায়ের আন্দোলন। তাও আবার সারাদেশে। জীবন রক্ষার জরুরি ওষুধের জন্য দিনভর ছোটাছুটি করেছেন রোগীর স্বজনরা। কিন্তু কোথাও দোকান খোলা নেই। এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে গিয়েও পাওয়া যায়নি জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধ। এ দৃশ্য ছিলো চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে।

ওষুধ না পেয়ে রোগীরা ছিলেন অসহনীয় দুর্ভোগে। সীমাহীন দুর্গতি ছিলো রোগীর স্বজনদেরও। রাজধানীর বৃহৎ ওষুধের মার্কেট থেকে পাড়া-মহল্লার দোকান ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। হাসপাতালে রোগীদের অবর্ণনীয় এ চিত্র ছিলো সারা দেশজুড়ে। বিকেলে ধর্মঘট ৪ ঘণ্টা কমানোর কথা বলা হলেও অধিকাংশ জেলাতে তা জানতে না পারার কারণে অনুসরণ করা হয়নি।

এদিকে এ প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গাতেও ধর্মঘট কর্মসূচি পালিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি শহরের সকল ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় সাধারণ রোগী অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি মোতাবেক জীবননগরে দুপুর ২টা পর্যন্ত ধর্মঘট পালিত হয়। ফলে গতকাল এ উপজেলার সকল ফার্মেসি ও ওষুধের দোকান বন্ধ ছিলো। এর ফলে জরুরি ওষুধ নিতে আসা রোগীর লোকজন মারাত্মক অসুবিধার মধ্যে পড়ে।

উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি কাজি বদরুদ্দোজা জানান, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেআইনিভাবে ঢাকার মিডফোর্ডে অভিযান চালিয়ে বৈধ ওষুধ ব্যবসায়ীদেরকে জরিমানা ও হয়রানি করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ওষুধের দোকানে ধর্মঘটের আহ্বান করে।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধ ছিলো মেহেরপুরের সব ওষুধের দোকান। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুরেও ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়। সেমতে সকাল ৬টা থেকে শহরের বড়বাজার, হাসপাতালের সামনের সড়ক, গাংনী উপজেলা ও মুজিবনগর উপজেলা শহরের সব ওষুধের দোকান বন্ধ থাকে। ফলে চরম বিপাকে পড়েন রোগী ও তাদের স্বজনরা। জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির আহ্বায়ক আনারুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মতে গতরাত ১০টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট বহাল রাখা হয়।