দৌলতপুরে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় দৌলতপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ আহত-২

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় দৌলতপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তার ছেলে আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে দৌলতপুর থানা বাজারে পাইলট হাইস্কুলের প্রধান গেটের সামনে হামলা ও মারপিটের এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে দৌলতপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরাত আলী তার ছেলে ও নিকট আত্মীয়কে গোপনে নিজ স্কুলে নিয়োগ দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় এমপি আলহাজ রেজাউল হক চৌধুরী, দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌফিকুর রহমান ও দৌলতপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুল হক গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সে অনুযায়ী রোববার দুপুরে দৌলতপুর পাইলট হাইস্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দৌলতপুর পাইলট হাইস্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুফাজ্জেল হক দৌলতপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরাত আলীর ছেলে ফয়সাল মাহমুদ প্রিন্স ও তার নিকট আত্মীয় আসিফ মাহমুদকে গোপনে দৌলতপুর পাইলট হাইস্কুলে শিক্ষক ও কর্মচারী পদে নিয়োগের বিষয়টি স্বীকার করলে সভায় তুমূল হৈচৈ ও বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হলে সভা প- হয়। এ সময় সভার সভাপতি মুফাজ্জল হক, প্রধান শিক্ষক ফরাত আলী ও তার ছেলে ফয়সাল মাহমুদ প্রিন্স স্কুল থেকে বের হলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করলে সভাপতি মুফাজ্জল হক পালিয়ে যায়। তবে জনতার হামলায় প্রধান শিক্ষক ফরাত আলী (৫৭) ও তার ছেলে ফয়সাল মাহমুদ প্রিন্স (৩০) রক্তাক্ত জখমসহ আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার বিষয়ে দৌলতপুর থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক শাহাদত হোসেন জানান, হাইস্কুল গেটের সামনে কে বা কারা দৌলতপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তার ছেলের ওপর হামলা চালিয়েছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে দৌলতপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুল হকের জানতে চাওয়া তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানান।