দোকানে হানা : যশোরে গুলিবিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: যশোরে গুলিবিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম মারা গেছেন। গতপরশু রাত ৮টার দিকে তাকে অজ্ঞাত পরিচয়ের অস্ত্রধারীরা গুলি করে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি গতকাল বুধবার সকালে মারা যান। তিনি ছিলেন যশোর পৌরসবার ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

জানা গেছে, গতপরশু সন্ধ্যার পর নজরুল ইসলাম যশোরের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছিলেন। একদল অস্ত্রধারী দোকানে বসে থাকা নজরুল ইসলামকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। বুকে পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে নজুরুল ইসলাম  মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সন্ত্রাসীরা তার পেটে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে নাড়ী-ভুড়ি বের করে ফেলে। পরে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় নজরুলকে উদ্ধার করে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল ভোর ৪টার দিকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার সময় পথে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাতেই শহরে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে নজরুল সমর্থকরা। তারা এর জন্য দলের অভ্যান্তরীণ বিরোধকে দায়ী করে খুনিচক্রের হোতাদের আটকের দাবি জানান। একই সাথে সকাল থেকে নজরুল সমর্থকরা মনিহার এলাকায় রাস্তার ওপর অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। আশেপাশের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পুলিশ গতরাতে অভিযান চালিয়ে নজরুল হত্যাকানেকশনে জড়িত থাকার সন্দেহে ৬ জনকে আটক করেছে বলে কোতয়ালী থানার ওসি ইমদাদুল হক শেখ জানিয়েছেন।

এ ঘটনার খবর পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারসহ দলের শ শ নেতাকর্মী রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান। ময়নাতদন্ত শেষে নজরুল ইসলামের লাশ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ করেছে তার কর্মী সমর্থকরা।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও বোমা হামলায় আহত হন নজরুল ইসলাম। চিকিৎসা শেষে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে এ হামলার জন্য শ্রমিকলীগ নেতা ফুলু ও ফিঙে লিটনবাহিনীর ক্যাডারদের দায়ী করেন। সম্মেলনে তার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। একই সাথে সন্ত্রাসীদের আটকের দাবি ছিলো তার। অন্যথায় তার জীবন বিপন্ন হতে পারে এমন সংশয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পুলিশ নজরুল ইসলামের সেই আবেদন অগ্রাহ্য করে। ফুলুও তার ক্যাডাররা রয়ে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে।