দেশের টুকিটাকি : নাটোরে প্রতিমন্ত্রী পলকসহ ২১ জনকে হত্যার হুমকি

নাটোরে প্রতিমন্ত্রী পলকসহ ২১ জনকে হত্যার হুমকি
স্টাফ রিপোর্টার: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ নাটোরের ৩ সংসদ সদস্য, সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের হত্যার হুমকি দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার নাটোর প্রেসক্লাবে চিঠি এসেছে। চিঠিতে প্রেরক হিসেবে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম-১১ নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের নাম রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডাকযোগে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দুলাল সরকার বরাবর এই চিঠি আসে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম-১১ রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলায় প্রথম আঘাত হানবে। আর আঘাতের প্রথমেই যাদের নিশ্চিহ্ন করা হবে তাদের একটি প্রাথমিক তালিকা দেয়া হলো। পরবর্তীতে আরও একটি নামের তালিকা দেয়া হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। চিঠিতে যাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে তারা হলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৪ (সিংড়া) আসনের সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলক, সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোত্তু‌র্জা, সাংগঠনিক সম্পাদক মালেক শেখ, নাটোর জজ কোর্টের পিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম, নাটোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দুলাল সরকার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম জেমস, সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুলের এপিএস আকরামুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে কুহেলী কুদ্দুস মুক্তি, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল সাকিব বাকি, সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপন, নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম ফিরোজ, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম বকুল, এইচ এম জাকির, আজু‌র্ শেখ, আসাদ, ফেরদৌস, ভোলা ও বুলবুল।

নবজাতক হত্যায় নারীর মৃত্যুদণ্ড
স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরায় নবজাতক হত্যার দায়ে রিজিয়া খাতুন (২৫) নামের এক নারীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারক শরীফ এ এম রেজা জাকের এই রায় দেন। একই মামলায় কাশেম কাপালী নামের এক আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত রিজিয়া খাতুন কালিগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। সাতক্ষীরা আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ওসমান গনি বলেন, ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কালিগঞ্জের রহিমপুর গ্রামের এক পুকুরের পাড় থেকে এক নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী অভিযোগ করে, নবজাতকটি ওই গ্রামের রিজিয়া খাতুন ও একই উপজেলার পাশের গ্রাম পাইকাড়ার কাশেম কাপালীর বিয়ে-বহির্ভূত সম্পর্কের সন্তান। প্রথমে অপমৃত্যু মামলা হয়। পরে ময়নাতদন্তে ওই নবজাতককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন দেয়া হয়। মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হলে পুলিশ রিজিয়া খাতুন ও কাশেম কাপালীকে গ্রেফতার করে। পরে জামিন নিয়ে রিজিয়া পালিয়ে যান। ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে আদালত গতকাল রিজিয়া খাতুনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। একই সাথে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পুলিশের ঘুম : আসামির পলায়ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ডাকাতি মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করে অটোরিকশায় করে থানায় ফিরছিলেন পুলিশের ৩ সদস্য। একপর্যায়ে তারা ঘুমিয়ে পড়লে হাতকড়া পরা অবস্থায় অটোরিকশা থেকে পালিয়ে যান ওই আসামি। গত বুধবার রাতের এ ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের ওই ৩ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওই ৩ পুলিশ সদস্য হলেন শাহজাদপুর থানার পুলিশ কনস্টেবল রবিউল করিম, এনামুল হক ও গণেশ চন্দ্র। শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, বুধবার রাতে ৩ কনস্টেবল কৈজুরী গ্রাম থেকে ডাকাতি মামলার আসামি ভুট্টো মিয়াকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসছিলেন। তাকে অটোরিকশায় করে থানায় আনার সময় ৩ জনই ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ভুট্টো মিয়া হাতকড়া পরা অবস্থায় অটোরিকশা থেকে পালিয়ে যান। এ কারণে কনস্টেবল রবিউল করিম, এনামুল হক এবং গণেশ চন্দ্রকে প্রত্যাহার করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দায়িত্ব অবহেলার কারণে ৩ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।