দেশের টুকরো খবর : চীনা প্রস্তাবে গা ভাসাতে না করলেন অর্থমন্ত্রী

চীনা প্রস্তাবে গা ভাসাতে না করলেন অর্থমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দফতরে প্রকল্প নিয়ে ঘুরে বেড়ানো চীনা কোম্পানিগুলো সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। চীনা কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রীয় হলেও তাদের আচরণ বেসরকারি কোম্পানির মতো, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পণ্য বিক্রিতে তাদেরও তৎপর- এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে নিজেদের প্রয়োজনীয়তার দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সচিবালয়ে গতকাল বুধবার নিজের দফতরের সম্মেলন কক্ষে সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে চীনা কোম্পানি নিয়ে এই সতর্কতা জানান মুহিত। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করেছে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক- এআইআইবি, যাকে দেখা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। গত ১৬ জানুয়ারি বেইজিংয়ে ওই ব্যাংকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানে বয়োজ্যেষ্ঠ অংশগ্রহণকারী হিসেবে বিশেষ সম্মান পেয়েছেন বলে জানান মুহিত। বর্তমানে চীন বাংলাদেশে খুবই সক্রিয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রজেক্টে তারা আগ্রহ দেখাচ্ছে। তাদের স্টেট কোম্পানিগুলো দারুণ সেলসম্যান। তারা তাদের প্রজেক্ট নিয়ে পাস করে।

রাজশাহীতে নবনির্বাচিত মেয়র আটক
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর তানোর পৌরসভার নব-নির্বাচিত মেয়র ও যুবদল নেতা মিজানুর রহমানকে আটক করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মহানগরীর সাহেববাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়। মিজানুর রহমান তানোর উপজেলা যুবদলের সভাপতি। বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আটক পৌর মেয়র মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে পূর্বে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা মামলা রয়েছে। এ কারণে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। তবে এর বেশি কিছু জানাতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। তবে তানোর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। তবে তানোর পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে মামলা দায়ের হলেও তিনি বর্তমানে হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন।

তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায়ও তো অসাংবিধানিক : বিএনপি
স্টাফ রিপোর্টার: অবসরে যাওয়ার পর রায় লেখার বৈধতা নিয়ে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের বৈধতা থাকল কি-না, সে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার রাজধানীতে এক আলোচনাসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজ পত্রিকায় এসেছে, দেশের প্রধান বিচারপতি বলেছেন যে, অবসর গ্রহণের পর যে রায় লেখা হয়, সেই রায় বেআইনি এবং অসাংবিধানিক। তাহলে যে রায়ের রেফারেন্স দিয়ে আপনারা পঞ্চদশ সংশোধনী করলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে দিলেন, সেই রায় তো আজকের প্রধান বিচারপতির ভাষায় বেআইনি ও অসাংবিধানিক। প্রধান বিচারপতির ওই বক্তব্যের পর পঞ্চদশ সংশোধনী ‘বাতিলযোগ্য হয়ে গেছে’ এবং বাংলাদেশের জনগণও ‘তা-ই চায়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা নজরুল। ২০১১ সালের মে মাসে তত্কালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল বলে রায় দেন। ওই রায়ের ভিত্তিতে পঞ্চদশ সংশোধনী করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। খায়রুল হক অবসরে যাওয়ার পর ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হয় পূর্ণাঙ্গ রায়।