দু নেত্রী একসাথে না বসলে সংঘাত হবে

স্টাফ রিপোর্টার: প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্তাব অনেকটাই সুনির্দিষ্ট। কিন্তু সুনির্দিষ্ট হলে কি হবে এটা বাস্তবায়ন করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা দু নেত্রীকে চিনি। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যে সমস্যর উদ্ভব হয়েছে তা সমাধানে দুজনকেই একসাথে বসতে হবে। এটি যদি করা না হয় তাহলে দেশে সংঘাত হবে।

ব্যারিস্টার রফিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বদলীয় সরকারের কথা বলেছেন। কিন্তু কাদেরকে নিয়ে ওই সরকার গঠিত হবে, এবং কতোজন মন্ত্রী হবেন তা স্পষ্ট করেননি। সর্বদলীয় সরকারের প্রধান কে হবেন প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে সে বিষয়টি খোলাসা করেননি। কিন্তু তার দলের নেতারা বিভিন্ন বক্তব্যে বিষয়টি খোলাসা করেছেন।

এদিকে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন তাদের মধ্য থেকে ১০ জনকে নির্বাচনকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এছাড়া সরকার ও বিরোধীদলের মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একজন সম্মানিত নাগরিককে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের কথাও বলেছেন। কিন্তু ওই দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যারা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা সবাই ছিলেন অনির্বাচিত। কিন্তু সংবিধানে তো অনির্বাচিত সরকারের কোনো বিধান নেই। তাই এ প্রস্তাবের বাস্তবায়ন করতে হলে দু দলকে ঐক্যমতে পৌছতে হবে। তিনি বলেন, আমার মনে হয় দেশে নির্বাচন হবে। বিএনপি হয়তো মানসিকভাবে নির্বাচন করতে প্রস্তুত রয়েছে। শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকলে হয়তো বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু বিএনপিকে বাদ দিয়ে যদি নির্বাচন হয় এবং সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেই সরকার গঠিত হবে তার স্থায়ীত্ব কতো দিনের হবে সেটাই দেখার বিষয়?