দামুড়হুদা হাতিভাঙ্গায় গৃহবধূকে পাচারের অভিযোগ তুলে দরিদ্র পরিবারকে নাজেহাল করার অভিযোগ

 

দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদা হাতিভাঙ্গা গ্রামে গৃহবধূকে পাচারের অভিযোগ তুলে আগের স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে নাজেহাল করে তুলেছে একটি চক্র। এরকমই অভিযোগ তুলে বলা হয়েছেঅভিযোগ উত্থাপনের পর তা নিস্পত্তির জন্য পক্ষের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেছে।

জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামে বাকপ্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলামের মেয়ে মুরশিদার (২০) সাথে ৩ বছর আগে বিয়ে হয় একই গ্রামের কলম উদ্দীনের ছেলে জাবেদ (১৯) এর সাথে। বিয়ের একুশ দিন পর স্বামী ও স্ত্রী বেড়াতে আসে গোবিন্দহুদা গ্রামের মুরশিদার সৎ পিতার বাড়িতে।সেখানে মুরশিদার গর্বধারনী মায়ের সাথে দেখা করবে। গোবিন্দহুদা হাইস্কুলে নেমে জাবেদ মিষ্টি আনতে যায়। মিষ্টি নিয়ে এসে জাবেদ মুরশিদাকে আর খুঁজে পায়নি। তাকে ভারতে পাচার করেছে বলে অভিযোগ তোলে তার পরিবার মুরশিদাকে খুঁজতে কলম উদ্দীনকে সর্বশেষ সম্বল ২৪ কাঠা জমি বিক্রি করতে হয়। এরপরও তাকে বিভিন্ন এলাকায় তন্নতন্ন করে খোঁজার পরও তাকে পাওয়া যায়নি। মুরশিদা নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবার থানায় একটি জিডি করে। পয়লা বোশেখের দিন মুরশিদা নতুন স্বামীর সাথে করে নিয়ে বাড়িতে হাজির হয়। মুরশিদার বাড়িতে উৎসুক জনতার ঢল নামে মুরশিদা বলে জাবেদ তাকে ভারতে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রি করেছিলো। বিষয়টি গ্রামবাসীদের মধ্যে জানা জানি হলে গ্রামের চিহ্নিত দু ব্যক্তি মামলা করা হবেনা এ মার্মে কলম উদ্দীনের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। দরিদ্র দিনমুজুর কলম উদ্দীন এতো টাকা কোথায় পাবে বলে জানালে ওই দু ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নারী পাচারের মামলা দেয়ার হুমকি দেয়। মুরশিদা ভারত থেকে দেড় বছর আগে যশোরে যায় এবং সেখানে এক যুবককে বিয়ে করে। দেড় বছর আগে হাতিভাঙ্গায় না গিয়ে যশোরে আসায় এলাকাবাসীর মনে সন্দেহের দানা বেধেছে।

কলম উদ্দীন জানায়, সম্পত্তির লোভে নাবালোক জাবেদের সাথে তার বিয়ে দেয়া হয়। মুরশিদার পিতার রয়েছে ৭/৮ বিঘা জমি। এ সম্পদ ফেলে কেন তাকে পাচার করবে। ঘটনা যায় হোক মুরশিদা কি পাচার হয়েছিলো নাকি স্বামী ছেড়ে স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছিলো তা তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসী।