দামুড়হুদা কালিয়াবকরির মুকুল হত্যার বিচার চেয়ে পিতার সংবাদ সম্মেলন

 

 

হত্যার আড়ালে নারী : আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও ধরছে না পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার কালিয়াবকরি গ্রামের মুকুল হত্যার আড়ালে রয়েছে নারী। এরকমই তথ্য দিয়ে মুকুলের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বার বার বলার পরও পুলিশ আসামিদের ধরছে না। তারা প্রকাশ্যে ঘুরছে। হুমকি দিচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে শোকার্ত মুক্তিযোদ্ধা পিতা নূরুল ইসলাম অশ্রু সজল কণ্ঠে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনও পুলিশ পেয়েছে। লাশ ঝুলিয়ে রাখা হলেও তাকে যে শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করা হয় তারও প্রমাণ মিলেছে। এরপরও পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও স্বাধীন দেশে সন্তান হত্যার বিচার পাবো না? যারা আমার সন্তানকে হত্যা করেছে তাদের দাপটেই এখন আমি শঙ্কিত। পুলিশ আন্তরিক হলেই আসামি ধরা পড়বে। বিচার পাবো বলে আশায় বুক বাঁধতে পারবো।

সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, গত ২ জুন সন্ধ্যায় ছেলে মুকুলকে গ্রামেরই মৃত চাঁদ আলী মালিতার ছেলে কাওছার, মৃত কাতর শেখের দু ছেলে মিজানুর রহমান ও বাবলু, ছইরুদ্দীনের ছেলে মজিবার, মওলার ছেলে সেলিম, মৃত রমজান মণ্ডলের ছেলে খলিলুর রহমান, অটল শেখের ছেলে মিজাল, ছাত্তারের ছেলে মানিক, আকুলের ছেলে মহাম্মদ আলী ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আর ছেলে মুকুলের খোঁজ পাইনি। পরদিন সকালে গ্রামের অদূরবর্তী মাঠে মিশার জমির পাশের আমবাগানের গাছে ঝুলন্ত অবস্তায় ছেলের মৃতদেহ পাওয়া যায়। মিশাই প্রথমে লাশ দেখে খবর দেয়। তাকে রড দিয়ে মারপিট করে গলায় লাইলনের রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আমগাছে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে পরবর্তীতে জানতে পারি। বিষয়টি জানার পর আসামিদের বিষয়ে দামুড়হুদা থানায় একাধিকবার জানিয়েছি। কোনো লাভ হয়নি। মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করলেও তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো ব্যবস্তা নেয়নি। পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। আমি মুক্তিযোদ্ধা হয়েও ছেলে হত্যার বিচারের জন্য পথে পথে ঘুরছি।

লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের পর এক প্রশ্নের জবাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম বলেন, গ্রামের মুসলি নামের এক মহিলা আছে। তার সাথে সম্পর্কের অপবাদ দেয়া হয়। সেই অপবাদের জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। তাছাড়াও আসামিদের সাথে বিরোধও আছে।

উল্লেখ্য, গত ৩ জুন সকালে কালিয়াবকরি ভুড়োরগাড়ি মাঠের একটি আমবাগানের আমগাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মুকুলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। মামলা দায়ের করেন নূরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যেই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের হস্তগত হয়েছে। তারপরও পুলিশ নড়ছে না।