দামুড়হুদায় লক্ষ্মীপুর থেকে চুরি হওয়া করিমন ১৫ দিন পর কার্ডাসডাঙ্গা থেকে উদ্ধার

 

কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জুড়ানপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর থেকে ১৫ দিন আগে চুরি হয়ে যাওয়া একটি করিমন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ মোড়ে আটক করেছে।

জানা গেছে, জুড়ানপুরের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত. আবু তালেবের ছেলে দিনমজুর আইনাল (৩৫) বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি করিমন কেনেন। সেই ঋণের টাকা এখনও পরিশোধ করতে পারেননি। এরই মাঝে গত ১৪/১৫ দিন আগে সন্ধ্যারাতে গ্রাম থেকে তার করিমনটি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস করিমনটি চুরি হয়ে যাওয়ায় আইনাল দিশেহারা হয়ে পড়ে। করিমনটি খুঁজে পেতে আইনাল চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন করিমনস্ট্যান্ডের স্টাটারদেরকে জানান। এরই মাঝে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আইনালের চুরি হয়ে যাওয়া করিমনটি বিক্রি করার জন্য চুয়াডাঙ্গার ছোটশলের মৃত. আবু তাহেরের ছেলে আবুল হোসেন (৫০) কার্পাসডাঙ্গা ইউপি মোড়ে করিমনস্ট্যান্ডে আসে। এ সময় করিমন স্ট্যাটার আজাদ করিমনটি দেখে সন্দেহ করেন। আজাদ কৌশলে করিমন কেনার কথা বলে বিক্রেতা আবুল হোসেনকে বসিয়ে রেখে মোবাইলফোনে আইনালকে ডাকেন। আইনালসহ লক্ষ্মীপুরের ৬/৭ জন লোক উপস্থিত হয়ে করিমনটি চিহ্নিত করে আবুল হোসেনকে চোর সাব্যস্থ করেন। কিন্তু করিমন বিক্রেতা জানায়, সে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ১৬ হাজার টাকায় হিজলগাড়ী বাজার থেকে কিনেছে। পুরাতন করিমন, আলমসাধু ও ভ্যান কেনাবেচা তার পেশা। তখন উপস্থিত সবাই তাকে আসল চোর (যার কাছ থেকে সে করিমনটি কিনেছে) তাকে ধরিয়ে দিতে বলে। সকলের কথামতো আবুল হোসেন করিমন মালিক আইনালের সাথে চোর ধরার জন্য বের হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত অনেক খোঁজাখুঁজি করে চোরকে না পেয়ে তারা কার্পাসডাঙ্গায় ফিরে আসে। ওই রাতে উপস্থিত সকলে সিদ্ধান্ত নেয় আজ শক্রবার বিকেল ৩টার মধ্যে চোরকে হাজির করতে না পারলে আবুল হোসেনের করিমন কেনা টাকা পাবে না এবং আইনাল তার করিমন নিয়ে যাবে। করিমনটি বর্তমানে কার্পাসডাঙ্গা করিমন স্ট্যাটার আজাদের হেফাজতে আছে।