দামুড়হুদার লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারি ইনচার্জ মুকুলের বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ

দামুড়হুদা/জুড়ানপুর প্রতিনিধি: দামুড়হুদার লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ এএসআই মুকুলের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে লোকজনকে ধরে এনে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। ওই সহকারী ইনচার্জ মুকুল সম্প্রতি বিভিন্নস্থান থেকে গাঁজা বিক্রেতা, সেবনকারী এবং জুয়াড়িদের ধরে ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন এবং গভীর রাতে টাকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেন। তিনি সপ্তাহ খানেক আগে লক্ষ্মীপুর দলকাপাড়ার মইজদ্দিনের ছেলে তুতা (২৮), মাঠপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে মকবুল হোসেন (৩০), চান্দ আলীর ছেলে শফিকুল (২৮), রহিদ বিশ্বাসের ছেলে শান্ত (২৫), স্কুলপাড়ার নুর ইসলামের ছেলে বিদ্যুত (২৫), আইয়ুবের ছেলে জিয়া (৩০), মন্টুর ছেলে মিনহাজ (২৬), মাঝেরপাড়ার ছইরদ্দিনের ছেলে মিঠুল (২৮), কাশেদ বিশ্বাসের ছেলে জিয়ার (২৯), পুকুরপাড়ার ইমানের ছেলে মিলন (২৭), গফুরের ছেলে মফিজ (৩১) কে ধরে এনে কারো কাছ থেকে ১৫ হাজার, কারো কাছে ৫ হাজার, আবার কারো কাছে ২ হাজার করে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি ওই সময় ছুটিতে ছিলাম। ওই সময় দায়িত্বে ছিলেন সহকারী ইনচার্জ মুকুল। অভিযুক্ত সহকারী ইনচার্জ মুকুল টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, যাদেরকে আটক করা হয়েছিলো তারা সবাই অপরাধী, কেউ গাঁজা সেবনকারী, কেউ গাঁজা বিক্রেতা আবার কেউ জুয়াড়ি। উল্লেখিত ব্যক্তিদের ধরা হয়েছিলো ঠিকই, তবে ওপর মহলের তদবিরে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিলো। এলাকার সচেতন মহল বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার যখন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন ঠিক তখন এএসআই মুকুল মাদককারবারিদের ধরে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিচ্ছেন। তারা প্রশ্ন তুলে আরও বলেছেন সেই তদবীরকারী কারা? বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত এএসআই মুকুলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগী সচেতনমহল।