দামুড়হুদার মজারপোতার ঘরজামাই হেলালকে মুমূর্ষু অবস্থায় বাঁশবাগান থেকে মধ্যরাতে উদ্ধার

 

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার মজারপোতার ঘরজামাই হেলালকে মৃতপ্রায় অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতরাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। শ্বশুর সাদেক আলী সাদের বাড়ির অদূরে চা দোকানের নিকটস্থ বাঁশবাগানে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় মাটিতে পড়ে গুঙরানোর সময় তাকে চা দোকানের লোকজন উদ্ধার করে। উদ্ধারকারীদের মধ্যে একই গ্রামের ইসলাম, মণ্টু, ইনামুল ও শাহাজান অভিন্ন ভাষায় বলেন, রাত তখন আনুমানিক ১০টা। চা দোকানে বসে ছিলাম। বাঁশবাগানের ভেতরে মানুষের গুঙরানো শব্দ শুনে সেদিকে এগিয়ে যাই। লাইট মেরে দেখি সাদেক আলী সাদের ঘরজমাই হেলাল পড়ে রযেছে। গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দেয়া। দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। উদ্ধারের পর থেকে হেলাল কথা বলতে পারেনি।

হেলাল দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা বাজারপাড়ার সাদেক আলীর ছেলে। মজারপোতা গ্রামের সাদেক আলী সাদের মেয়ে সালেহার সাথে আনুমানিক ৭ বছর আগে বিয়ে করে। শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করে আসছিলো। গতরাতে হেলাল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালিয়ে রশি ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে নাকি ঘটনার আড়ালে অন্য কোনো ঘটনা নিহিত রয়েছে তা নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি। শয্যাপাশে থাকা শাশুড়ি বলেছে, সোমবার ধানের পাতুর জন্য জায়গা করা নিয়ে ওর শ্বশুরের সাথে মনমালিন্য হয়। এ কারণেই আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারে।