দামুড়হুদার বুইচিতলায় গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ

অভিযুক্তকে ধরে পুলিশে সোপর্দ : মোটা অঙ্কের টাকায় রফা
দর্শনা অফিস: দামুড়হুদা বুইচিতলা গ্রামের এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে উত্তমমধ্যম শেষে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে অভিযুক্ত জাহিদ নামের এক যুবককে। মোটা অঙ্কের টাকায় রফা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফাঁড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে। পক্ষে-বিপক্ষে শুরু হয়েছে নানামুখি গুঞ্জন। জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দামুড়হুদার কুড়–লগাছি ইউনিয়নের বুইচিতলা গ্রামের গৃহবধু ১ সন্তানের জননী ও উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বড়বলদিয়া বাজারপাড়ার সোহরাব হোসেন মালিকের ছেলে জাহিদুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী ইঞ্জিন চালিত নছিমনযোগে কার্পাসডাঙ্গা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। গৃহবধূর অভিযোগ মতে চলন্ত নছিমনে বসে জাহিদুল তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করেছে। একপর্যায়ে গৃহবধূ হাত ধরে ফেললে জাহিদুল ক্ষমা প্রার্থনা করে। নছিমন বুইচিতলা মোড়ে পৌঁছুনো মাত্র গৃহবধূ অভিযুক্ত জাহিদুলকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করলে স্থানীয়রা ছুটে আসে। স্থানীয় লোকজন গৃহবধূর অভিযোগ শুনে উত্তমমধ্যম দিয়ে জাহিদুলকে আটকে রাখে। এসময় সাংবাদিকদের সাথে শাহীন অশোভনীয় আচরণ করেন। নিজেকে বড় মাপের নেতা হিসেবে জাহির করার অপচেষ্টায় মেতে ওঠেন শাহীন। সন্ধ্যার পর কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আসাদুর রহমান খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশ জাহিদকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাহিদুল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, কার্পাসডাঙ্গা-বুইচিতলা সড়কের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ভাঙা থাকায় অনাকাক্সিক্ষতভাবে তার হাতের কুনোর সাথে গৃহবধূর শরীরের স্পর্শ হতে পারে। ইচ্ছাকৃতভাবে গৃহবধুকে স্পর্শ করার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন জাহিদুল। গৃহবধূর পক্ষ থেকে কোনো প্রকার লিখিত অভিযোগ না হওয়ায় রাত ৯টার দিকে জাহিদুলকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি রফা করার গুঞ্জন ছড়িয়েছে এলাকায়।